শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে বাংলাদেশে ঘন কুয়াশা প্রবেশ করবে এমন পূর্বাভাস ছিল আবহাওয়া অধিদপ্তরের। এই ঘন কুয়াশা আগামী ৩ থেকে ৫ দিন স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে, রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই উত্তরাঞ্চলের জেলা পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও , নীলফমারীসহ পাশের জেলাগুলো ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের জেলাগুলোও ঘন কুয়াশায় ছেয়ে গেছে। এদিন সকাল নয়টা পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি অনেক জায়গায়।
আবহাওয়া অফিস বলছে, উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আগামী ২ থেকে ৩ দিন কুয়াশা আরও বাড়বে। এতে তাপমাত্রা কমে শীতের অনুভূতি বাড়বে। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী অন্তত ৭ থেকে ১০ দিনে শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা তারা দেখছেন না। ডিসেম্বরে এখনও শৈত্যপ্রবাহ হয়নি, তাই জানুয়ারিতে স্বাভাবিকভাবেই একটা শৈত্যপ্রবাহ হবে- এমন প্রত্যাশা করা যায়। কিন্তু এখনও সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
শনি ও রোববার দেশের উত্তরাঞ্চলে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। এছাড়া পরবর্তী পাঁচ দিনে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
এদিকে, বছরের শেষ দিনে রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সবচেয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় রাজধানীর অবস্থান শীর্ষ দুইয়ে। সকাল ৮টায় আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউ এয়ার) সূচক এ তথ্য জানিয়েছে।
তালিকায় আজ সবার শীর্ষে অবস্থান করছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের দিল্লি। শহরটির বাতাসের মানের স্কোর ২৫০, অর্থাৎ সেখানকার বাতাস নগরবাসীর জন্য খুবই অস্বাস্থ্যকর। পাশাপাশি দুই নম্বরে থাকা ঢাকার বাতাসের মানের স্কোর, ২৪৮। এই মানও নাগরিকদের জন্য খুবই অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।