বিএনপি-জামায়াত না এলেও ভোরদের উপস্থিতিতেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ছয় জেলার নির্বাচনী জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে সরকার প্রধান বলেন, ৭৫-এর পর অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার জন্য জনগণের অধিকার কেড়ে নেয়ার সংস্কৃতি চালু করেছিল জিয়াউর রহমান। স্বাধীনতাবিরোধীদের সমন্বয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিপরীত ধারায় চলতে থাকে দেশ। গ্যাস বিক্রির চক্রান্ত করে ক্ষমতায় এসে মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে বিএনপি।
নির্বাচনে ষড়যন্ত্র নিয়ে তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন নিয়ে অনেক চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র রয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সবসময় নির্বাচন বানচালের তালে থাকে। কিন্তু নির্বাচিত সরকার ছাড়া দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না, এটাই বাস্তবতা।
২০১৪-১৮ সালে মানুষ ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছিল বলেই, দেশে উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই কেবল দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে পারবে। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে, আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করে উন্নত-সমৃদ্ধ জীবনের ধারা অব্যাহত রেখে যাতে দেশকে আরও এগিয়ে নেয়া যায়, সেই কাজটি করবে দেশের মানুষ।
নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবেও চক্রান্ত হচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশটা যাতে সুন্দর থাকে, উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ হয়, সেই দিকে সবাই খেয়াল রাখবেন। বিএনপি সন্ত্রাসী, জামায়াত যুদ্ধপরাধীদের দল। এরা নির্বাচনে না এলে সেই ভোট অংশগ্রহণমূলক হবে না, এটা আমরা বিশ্বাস করি না।
ভোটারদের অংশগ্রহণেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হয়ে যাবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ জন্য উন্মুক্ত নির্বাচন করতে দিয়েছি। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখবেন সবাই। জনগণ যাকে চাইবে, তাকেই মেনে নেবেন সবাই। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আওয়ামী লীগ আবারও মানুষের সেবার সুযোগ পাবে। সেটাই প্রত্যাশা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ পর্যায়ক্রমে জামালপুর ও শেরপুর জেলা, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী এবং চাঁদপুর ও বান্দরবান জেলার নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দিয়েছেন।
১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারণা চালাতে পারবেন তারা। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
যাচাই-বাছাই ও আপিল নিষ্পত্তি শেষে ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানায়, সারাদেশে ২৭টি রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৯০০ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।