দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ৬ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত থেকে ৭ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত কয়েক ধরনের যান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই যানবাহনগুলোর মধ্যে আছে ট্যাক্সি ক্যাব, পিকআপ, মাইক্রোবাস ও ট্রাক। তবে কিছু ক্ষেত্রে এসব যান চলাচলে শিথিলতা থাকবে।
এ ছাড়া ৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাত থেকে ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদন সাপেক্ষে সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক অথবা জরুরি কোনো কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল চলাচল করবে। আজ রোববার নির্বাচন কমিশন এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চিঠিতে বলা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষকদের গাড়ি, জরুরি সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন এবং ওষুধ, স্বাস্থ্য-চিকিৎসা ও এ ধরনের কাজে ব্যবহৃত দ্রব্যাদি ও সংবাদপত্র বহনকারী সব ধরনের যানবাহন, আত্মীয়স্বজনের জন্য বিমানবন্দরে যাওয়া, বিমানবন্দর থেকে যাত্রী বা আত্মীয়স্বজনসহ নিজ বাসস্থানে অথবা আত্মীয়স্বজনের বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত যানবাহন (টিকিট বা অনুরূপ প্রমাণ দেখাতে হবে) এবং দূরপাল্লার যাত্রী বহনকারী অথবা দূরপাল্লার যাত্রী হিসেবে স্থানীয় পর্যায়ে যাতায়াতের জন্য যেকোনো যানবাহনের ক্ষেত্রে শিথিলতা থাকবে।
এ ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর জন্য একটি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের (যথাযথ নিয়োগপত্র/পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে) জন্য একটি গাড়ি (জিপ, কার, মাইক্রোবাস ইত্যাদি ছোট আকৃতির যানবাহন) রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমোদন ও গাড়িতে স্টিকার প্রদর্শন সাপেক্ষে চলাচল করতে পারবে।
সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষক ছাড়াও নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী বা অন্য কোনো ব্যক্তির জন্য মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়া যাবে। এ ছাড়া জাতীয় মহাসড়ক, বন্দর ছাড়াও আন্তজেলা বা মহানগর থেকে বাহির বা প্রবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, মহাসড়ক ও প্রধান প্রধান রাস্তার সংযোগ সড়ক বা এ ধরনের সব সড়কে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।