গাজীপুরের বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইন কেটে নাশকতা সৃষ্টির মূল পরিকল্পনাকারীসহ ৭ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রেল লাইন কেটে নাশকতাকারী সকলেই বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। প্রেস ব্রিফিং এতথ্য নিশ্চিত করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার।
গত ১৩ ডিসেম্বর ভোররাতে গাজীপুরের শ্রীপুর বনখড়িয়া এলাকায় চিলাই রেল ব্রিজের পাশে গ্যাসকাটার দিয়ে রেল লাইন কেটে রাখে দুর্বৃত্তরা। এতে ভোর ৪টা ১০ মিনিটে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই আসলাম হোসেন নামে এক যাত্রী নিহত হয় এবং আহত হয় অন্তত অর্ধশতাধিক যাত্রী। ট্রেন চালকসহ ৭ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস ।
গোপন সংবাদ ও তথ্যপ্রযুক্তি মাধ্যমে গতকাল দুষ্কৃতকারী দলের সদস্য জান্নাতুল ইসলামকে (২৫) ও মেহেদী হাসানকে (২৫) আটক করে জিএমপি। তাদের জিজ্ঞোসাবাদে ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা গাজীপুর সিটির ২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজমল তুইয়াসহ আরও ৫জন গ্রেফতার করা হয় ।
নাশকতাকারীরা বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে জিএমপি এর কোনাবাড়ি থেকে একটি হায়েস গাড়ি ১২ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর ভাড়া করে। পরে তারা ঢাকা যাওয়ার কথা থাকলেও না গিয়ে গাজীপুরের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাফেরা করতে থাকে। পরে মধ্যরাতে চালায় নাশকতার ঘটনা।
আসন্ন নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করতে নাশকতার উদ্দেশ্যে নির্জনস্থানে গিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ।
গাজীপুর মহানগর ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুম ও ছাত্রদলের আজিমুদ্দিন কলেজ শাখার আহবায়ক ত্বোহার নেতৃত্বে ৮ জন বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃতরা। এই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার হাসান আজমল ভূঁইয়া।