জাতীয় পার্টি ২৮৩টি আসনে ভোটে অংশে নেবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক। আজ রোববার বেলা সাড়ে তিনটার পর দলের চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মুজিবুল হক বলেন, ‘কোনো জোট হয়নি। আসন সমঝোতা হয়নি। তবে কিছু আসনের ক্ষেত্রে কিছু কৌশল রয়েছে।’
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আজ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) সূত্র বলছে, জাপা আওয়ামী লীগের কাছে বেশ কিছু আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার চায়। পাশাপাশি জাপা চায় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও প্রার্থিতা থেকে সরে দাঁড়াক।বিষয়টি নিয়ে কয়েক দিন ধরে দুই দলের নেতাদের মধ্যে বৈঠক হয়।
আজ বেলা ১টার পরে সাংবাদিকদের মুজিবুল হক বলেছিলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনে থাকবে কি না তা বিকেলে জানানো হবে।এরপর বিকেলে ২৮৩ আসনে ভোট করার ঘোষণা এল।
এর আগে সকাল থেকেই জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে দলটির নেতা-কর্মীরা। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের একটি অংশ নির্বাচন বর্জনের দাবি জানিয়ে মিছিল করেছেন। তাঁরা ‘দালালি না রাজপথ’, ‘নির্বাচনে অংশগ্রহণ নয়, বর্জন বর্জন’ স্লোগান দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেলা সোয়া ১১টার দিকে কার্যালয়ে পৌঁছান জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তাঁর আগে ও পরে কার্যালয়ে আসেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক, সাবেক মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সালমা ইসলাম ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান।
নেতারা কার্যালয়ে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গেই উপস্থিত নেতা-কর্মীরা স্লোগান দেন।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, জিএম কাদের কার্যালয়ে ঢোকার পরপরই গণমাধ্যম কর্মীরা তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। এ সময় জাপার মহাসচিব মুজিবুল হক তাঁকে একটু দাঁড়িয়ে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন। তখন জিএম কাদের বলেন, ‘ভিক্ষার সিট আমি নেব না।’ এ কথা বলে তিনি তাঁর কক্ষে চলে যান।
ওই সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় পার্টির নেতারা কার্যালয়ে যাওয়ার পর বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা সেখানে পৌঁছান। তাঁরা কার্যালয়ের ভেতরে গিয়ে কেউ চেয়ারম্যান এবং কেউ মহাসচিবের কক্ষের ভেতরে, কেউ সামনে অবস্থান নেন।