প্রতিবেশী দেশ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় দেশের পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই এক লাফে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম হয়েছে দ্বিগুণ। দেশি পেঁয়াজের কেজি ২৪০ এ এসে ঠেকেছে। উচ্চমূল্যে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে নাভিশ্বাসে সাধারণ ক্রেতারা। এ অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আগামী ৭ দিন পেঁয়াজ কেনা বন্ধের ডাক দিয়েছেন তারা।
‘আগামী সাতদিন পেঁয়াজ বর্জন’ শীর্ষক ইভেন্ট খোলা হয়েছে ফেসবুকে। এ ইভেন্টে এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার মানুষ আগ্রহ দেখিয়েছেন। ক্রমেই বেড়ে চলেছে এর সংখ্যা।
ইভেন্টের চাওয়া প্রসঙ্গে বলা হয়, ‘সবাই মিলে সাতদিনের জন্য পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করি। যেহেতু এটা পচনশীল পণ্য, তাই ব্যবসায়ী এবং মজুতদাররা অটোমেটিক লাইনে চলে আসবে (সিন্ডিকেট ভেঙে যাবে)।’
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, অভ্যন্তরীণ বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি করবে না।
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম হুহু করে বাড়তে থাকে। ফলে রোববার এসে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি দাঁড়ায় ২২০ থেকে ২৪০ টাকা।
অন্যদিকে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। অনলাইন শপ চাল ডাল ডটকম, স্বপ্ন, ডেইলি শপসহ অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্মেও পেঁয়াজের দাম রাখা হচ্ছে ২১৯ টাকা।
এ অবস্থায় পেঁয়াজের দাম বাড়তি হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার দোকানগুলোতে পেঁয়াজ কেনা ও বিক্রির পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। কারণ এত বেশি দাম হওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা পেঁয়াজ কিনছেন অল্প পরিমাণে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর ভারত প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে দেয়, যা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলা হয়েছিল। তার আগেই দেশটি পেঁয়াজ একেবারে রপ্তানি বন্ধ করে দিল।