1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
পাকিস্তান থেকে সেই জাহাজে যা যা এল সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল ব্রেকিংয়ের প্রতিযোগিতায় অনেক গণমাধ্যম অপতথ্য ছড়ায় : আসিফ নজরুল বোরহানউদ্দিনে ঘর নির্মাণে নিহত দুই শহীদ পরিবারকে ৭ লাখ টাকা প্রদান ভোলায় বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত নির্বাচনে গোয়েন্দা সংস্থার হস্তক্ষেপ গুরুতর অন্যায় ২৮ বছর পর কলকাতা বইমেলায় অংশগ্রহণকারী দেশের তালিকায় নেই বাংলাদেশ তিন বিভাগ থেকে কি একজনও নেই, যিনি মন্ত্রণালয় চালানোর যোগ্য: সারজিস আলম আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতার: প্রধান উপদেষ্টা ভোলায় কোস্টগার্ডের সফল অভিযান

নিষেধাজ্ঞায় পড়লে বাংলাদেশ থেকে পোশাক না নেওয়ার শর্ত ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩

শ্রম অধিকার সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র নতুন শ্রমনীতি ঘোষণার পর দুশ্চিন্তায় পড়েন বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা। এবার সেই দুশ্চিন্তা আরও কিছুটা বাড়ল। কারণ, বাংলাদেশ কোনো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লে পণ্য না নেওয়া কিংবা অর্থ পরিশোধ না করার শর্ত যুক্ত করে তৈরি পোশাকের ঋণপত্র দিয়েছে একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান আজ বুধবার বলেন, একটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো ঋণপত্রের সাধারণ শর্তের মধ্যে বলেছে, বাংলাদেশ কোনো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লে তারা পণ্য নেবে না। যদি পণ্য জাহাজীকরণের পরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কোনো ঘটনা ঘটে, তাহলেও অর্থ দেবে না ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।

তবে কোন ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এমন শর্ত দিয়েছে কিংবা কোন পোশাক কারখানাকে এমন শর্ত দেওয়া হয়েছে, তা জানাননি বিজিএমইএ সভাপতি।

ফারুক হাসান বলেন, নতুন শর্ত দেওয়ায় দুশ্চিন্তা একটু বাড়ল। কারণ, এতে করে অনেক ব্যাংক মূল ঋণপত্রের বিপরীতে ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র খুলতে না–ও পারে। তার কারণ হচ্ছে, নতুন এই শর্তের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির পর অর্থপ্রাপ্তির বিষয়টিতে কিছুটা অনিশ্চয়তা থেকে যায়। আবার ক্রেতা পণ্য না নিলে স্টক হয়ে যেতে পারে। অনেক ব্যাংক আবার ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র স্বাভাবিকভাবে খুলবে। এটিকে বড় করে দেখবে না। কারণ, তাদের এই খাতের ওপর বিশ্বাস রয়েছে।

ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র খুলতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সে জন্য সরকারের ওপর মহলে কথা বলবেন বলেও জানান বিজিএমইএর সভাপতি।

এ ঘটনার পর উদ্যোক্তারা দুশ্চিন্তায় পড়বেন কি না, জানতে চাইলে ফারুক হাসান বলেন, ‘অবশ্যই উদ্যোক্তারা টেনশনে পড়বেন। যদিও আমরা মনে করি না, ব্যবসায় কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। যেহেতু যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমনীতি বিশ্বের সব দেশের জন্যই প্রযোজ্য, সেহেতু অন্য দেশে ক্রয়াদেশ দেওয়ার ক্ষেত্রেও একই ধরনের শর্ত হয়তো দিচ্ছে বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান।’

যুক্তরাষ্ট্র গত ১৬ নভেম্বর বিশ্বজুড়ে শ্রম অধিকার সুরক্ষায় নতুন নীতি ঘোষণা করে। আনুষ্ঠানিকভাবে এ নীতি প্রকাশকালে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, যারা শ্রমিকদের অধিকারের বিরুদ্ধে যাবে, শ্রমিকদের হুমকি দেবে, ভয় দেখাবে, তাদের ওপর প্রয়োজনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতির বিষয়ে গত ২০ নভেম্বর ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে ‘শঙ্কা’ প্রকাশ করে বাণিজ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, শ্রম অধিকারবিষয়ক নতুন এ নীতির লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বাংলাদেশ। কারণ, শ্রমিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে এই নীতি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা রাষ্ট্রের ওপর আরোপের সুযোগ রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩