জামালপুরের ৫টি সংসদীয় আসনের ১৩ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তৃণমূল বিএনপির ১ জন, জাকের পার্টির ১ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ১ জন, বিএনএফ’র ১ জন ও স্বতন্ত্র ৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার।
সোমবার দুপুরে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো: শফিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গতকাল রবিবার জামালপুর ১,২ ও ৩ আসন ও আজ সোমবার জামালপুর ৪ ও ৫ আসনের মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো: শফিউর রহমান জানান, জামালপুর ১, ২, ৩, ৪ ও ৫ আসনে মোট ৩৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। বাছাই শেষে ২৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। বাকী ১৩ জনের মধ্যে ৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রদান করা ১ শতাংশ ভোটার তালিকা সঠিক না থাকায়, তৃণমূল বিএনপি ও জাকের পার্টির ২ প্রার্থী হলফনামা সঠিকভাবে দাখিল না করায়, বিএনএফ প্রার্থী ঋণখেলাপি ও আয়কর সনদ প্রদান না করায় এবং জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আব্দুল করিম সরকার দলীয় মনোনয়নপত্র দাখিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
জামালপুর- ১ (দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ) আসনে তৃণমূল বিএনপির গোলাম মোস্তফা হফলনামা সঠিকভাবে দাখিল না করায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক ও মাহবুবুল হাসানের প্রদান করা ১ শতাংশ ভোটার তালিকা সঠিক না থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নূর মোহাম্মদ, জাতীয় পার্টির এস এম আবু সায়েম ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আব্দুল্লাহ আল মামুনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জামালপুর- ২ (ইসলামপুর) আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী আব্দুল হালিম মন্ডল হফলনামা সঠিকভাবে দাখিল না করায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক জিয়া, এম এম শাহিনুজ্জামান ও শাহজাহান আলী মন্ডলের প্রদান করা ১ শতাংশ ভোটার তালিকা সঠিক না থাকায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল, জাতীয় পার্টির মোস্তফা আল মাহমুদ ও তৃণমূল বিএনপির মো: হোসেন রেজা বাবুর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
জামালপুর- ৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল ইসলামের প্রদান করা ১ শতাংশ ভোটার তালিকা সঠিক না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এই আসনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মির্জা আজম, জাতীয় পার্টির মীর সামসুল আলম, জাকের পার্টির মো: জয়নাল আবেদীন, জাতীয় পার্টি (জেপি)’র মো: নজরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ সোমবার জামালপুর ৪ ও ৫ আসনের মোট ২০টি মনোনয়নপত্রের বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। বাছাই শেষে মোট ৫ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ও ১৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
জামালপুর ৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশার প্রদান করা ভোটার তালিকা সঠিক না থাকায় এবং ঋণখেলাপি ও আয়কর সনদ না থাকায় বিএনএফ-এর প্রার্থী তারিক মাহাদীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এই আসনে আলোচিত সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান, ঢাকার তেজগাঁও থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুবুর রহমান, তৃণমূল বিএনপির মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, জাকের পার্টির এস এম রবিউল ইসলাম, জাতীয় পার্টির বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) গোলাম মোস্তফা জিন্নাহর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
জামালপুর ৫ (জামালপুর সদর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাকির হোসেনের প্রদান করা ভোটার তালিকা সঠিক না থাকায়, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আব্দুল করিম সরকার দলীয় মনোনয়নপত্র দাখিল না করায় তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রেজাউল করিম রেজনু, জাতীয় পার্টির (জেপি) বাবার আলী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু সায়েম মোহাম্মদ সা: আদাত উল করিম, জাতীয় পার্টির জাকির হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মো: সাবিরুজ্জামান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এসপিপি) মো: রফিকুল ইসলাম ও জাকের পার্টির সৈয়দ মুনিরুল হক নোবেলের মনোনয়পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।