দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শ্রীবরদী উপজেলা চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলামের বাইরে বিদায়ী সংসদ সদস্য প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক চাঁনসহ দলের আরও ৫ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
তারা হচ্ছেন, ঝিনাইগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, প্রয়াত সংসদ সদস্য এমএ বারীর পুত্র মোহসিনুল বারী রুমি, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা এইচএম ইকবাল হুসাইন অন্তর এবং শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিজানুর রহমান রাজা।
২৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে ওই তথ্য জানা গেছে। তারা সবাই দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
জানা যায়, শেরপুর-৩ আসনে ঝিনাইগাতী উপজেলা থেকে একমাত্র এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম এবং শ্রীবরদী উপজেলা থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান এডিএম শহিদুল ইসলামসহ ১৯ জনসহ মোট ২০ জন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।
মনোনয়ন বোর্ডের সভা শেষে প্রথম পর্যায়ে এসএম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন- এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়লেও শেষটায় ঘোষিত হয় এডিএম শহিদুলের নাম। পরবর্তীতে দলের শিথিল অবস্থানের কারণে মনোনয়ন বঞ্চিতদের অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহে উৎসাহ পেয়ে বসেন। ফলে বুধবার বিকেল পর্যন্ত দলের আরও ৫ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা নাইম ইতোমধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং তা গৃহীতও হয়েছে। ফলে অনেকটাই নিশ্চিত যে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়বেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ধারণা, দলের শিথিল অবস্থানের কারণেই এ আসনে দলের মনোনীত প্রার্থীর বাইরেও এতসংখ্যক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।
তবে এ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বঞ্চিত জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. ইকবাল আহসান ও মো. মুফাজ্জল হক নামে আরও দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। মুফাজ্জল হক বেসরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক। এছাড়া মনোনয়ন নিয়েছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মো. সিরাজুল হক।