শেরপুরের শ্রীবরদীতে এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ করার পর ধর্ষণের ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে ঘটনার মূলহোতা ধর্ষক ইউসুফ আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার রাতে উপজেলার চকবন্দি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ ২৫ নভেম্বর দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত ইউসুফ আলী শ্রীবরদী উপজেলার চকবন্দি এলাকা গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
শ্রীবরদী থানার ওসি কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, চকবন্দি এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে ইউসুফ কিছুদিন যাবত উপজেলার একটি মাদ্রাসার ওই ছাত্রীকে উত্যক্ত ও কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে তাকে ফুসলিয়ে কৌশলে ইউসুফের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে এবং মোবাইল ফোনে তা ভিডিও ধারণ করে।
পরবর্তীতে পুনরায় তাকে ধর্ষণের প্রস্তাব দিলে ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে ইউসুফ ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। পরে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ইউসুফকে প্রধান আসামী ও অজ্ঞাতনামা আরো দুইজনকে আসামী করে শ্রীবরদী থানায় নারী নির্যাতন দমন আইন ও পর্ণগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করে। মামলার পর পুলিশ চকবন্দী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে।