জামালপুরে যৌতুকের দাবীতে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় মোছা: ইদফুল (৪০) নামে এক নারীকে দেড় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে জামালপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তানজিনা আক্তার এই দণ্ডাদেশ দেন।
মামলার রায়ের সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চঘারচর গ্রামের মকছেন আলীর ছেলে মো: গোলাপজলের (৪৮) সাথে ১৯৯৬ সালের ২০ মে একই উপজেলার শাহজাতপুর গ্রামের মৃত খাজর আলীর মেয়ে মোছা: ইদফুলের বিয়ে হয়। বিগত ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর গোলাপজল তার স্ত্রী ইদফুলকে তালাক প্রদান করেন। এরপর ইদফুল তার প্রাক্তন স্বামী গোলাপজলের বিরুদ্ধে দেওয়ানগঞ্জ আদালতে গত ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন।
তবে আদালতের নিকট প্রমাণিত হয় যে, মো: গোলাপজল গত ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর তার স্ত্রী ইদফুলকে তালাক প্রদান করেছেন। আর মামলার বাদী ইদফুল ৩ বছর পূর্বে তালাকের নোটিশ পেয়েও অসৎ উদ্দেশ্যে গত ২০২২ সালের ৬ মে তার নিকট ২ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবী করেছেন বলে আদালতে মামলা দায়ের করেন। তাই তালাকপ্রাপ্ত হওয়ার পর যৌতুক দাবী করার বিষয়টি আদালতের কাছে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়।
উভয় পক্ষের ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষের ভিত্তিতে শুনানি শেষে মামলার বাদী বিবাদী উভয়ের উপস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মামলার আসামী গোলাপজলকে বেকসুর খালাস দেন এবং মিথ্যা মামলা দায়ের করায় মামলার বাদী ইদফুলকে দেড় বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তানজিনা আক্তার।
মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো: শফিকুল ইসলাম, তবে তিনি অসুস্থ থাকায় বাদী নিজেই শুনানিতে অংশ নেয়। মামলায় বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোকাম্মেল হক। এমন একটি ব্যাতিক্রম রায়ে আদালত পাড়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।