হরতাল, অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরসহ যেকোনো সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছেন বিভিন্ন জেলা চেম্বারের নেতারা।
রোববার রাজধানীর মতিঝিলে অবস্থিত এফবিসিসিআই কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তারা হারতাল অবরোধের বিরূদ্ধে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণের জন্য এফবিসিসিআইর প্রতি আহবান জানিয়েছে। এফবিসিসিআই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় দেশের শিল্প, ব্যবসা- বাণিজ্য, পণ্য উৎপাদন, রপ্তানি এবং সরবরাহ ব্যবস্থায় চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আলোচনা হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখা কঠিন হবে। অর্থনীতিকে সচল রাখার স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোকে সহিংস কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে হবে। দেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায় কোন ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা চান না।
মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়ে- হরতাল, অবরোধ, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরসহ যেকোনো সহিংস রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানের কথা জানান বিভিন্ন জেলা চেম্বারের নেতৃবৃন্দ।
যেকোনো সহিংস কর্মসূচিতে সবার আগে ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হন ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা– এমন মন্তব্য করে সুনামগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি এবং এফবিসিসিআইর সহ সভাপতি খায়রুল হুদা চপল বলেন, ‘আমরা হরতাল, অবরোধ চাই না। চলমান ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের পর আবারও যদি নতুন করে হরতাল বা অবরোধ দেয়া হলে, এর প্রতিবাদে এফবিসিসিআই’র নেতৃত্বে সারাদেশের ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির উদ্যোগ নিতে পারি।’
গাজীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং এফবিসিসিআই’র সহ সভাপতি মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু মহল ধ্বংসাত্মক কর্মসূচির পথ বেছে নিয়েছে, যা অর্থনীতির জন্য বড় হুমকি। সারাদেশের জেলা চেম্বারগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এফবিসিসিআইকে এসব ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
এফবিসিসিআই’র আরেক সহ-সভাপতি মুনির হোসেন বলেন, অতীতে সব সংকটে ব্যবসায়ীরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আজ একটি শক্তিশালী অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে। এবারও ব্যবসায়ী ঐক্যবদ্ধ হয়ে হয়ে চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে বলে জানান।
মতবিনিময় সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন এফবিসিসিআই’র বর্তমান ও সাবেক পরিচালকবৃন্দ এবং বিভিন্ন জেলা চেম্বারের প্রতিনিধিরা।