পদত্যাগ করেছেন সরকারের টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা। রোববার তারা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পদত্যাগপত্র জমা দেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।
সরকারের মন্ত্রিসভায় টেকনোক্র্যাট ক্রাট মন্ত্রী হিসেবে রয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন- অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ, বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
২০১৮ সালের নভেম্বরে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের দিন টেকনোক্র্যাট চার মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বলা হয় এবং তারা পদত্যাগপত্র জমাও দেন। বাকি মন্ত্রীরা সবাই রুটিন কাজ করে গেছেন। সেসময় যেসব মন্ত্রী পদত্যাগপত্র দিয়েছিলেন, তাদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয় এক মাস পর অর্থাৎ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর ঠিক আগের দিন।
এর আগে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনের আগের সর্বদলীয় নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুরোনো কয়েকজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে নতুন করে ছয়জনকে যুক্ত করা হয়।
২৯ সদস্যের নির্বাচনকালীন ওই মন্ত্রিসভায় সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল বিরোধী দল থেকেও দুইজনকে রাখা হয়। ওই মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার জন্য বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও দলটি আসেনি।
গত ৩১ অক্টোবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সাংবাদিকরা প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরাই নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে আমাদের রুটিন ওয়ার্ক দায়িত্ব পালন, দৈনন্দিন কাজকর্ম করব, যাতে সরকার অচল হয়ে না যায়, সেটা আমরা করব, সেভাবে চলবে।’
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচনের আগে মন্ত্রিসভা ছোট করা হলেও এবার তেমন পরিকল্পনা না থাকার কথা বলেছিলেন সরকারপ্রধান।
‘১৪-তে আমি কিছু মন্ত্রী অন্যান্য দল থেকে নিয়োগ করেছিলাম, এরপর ১৮-তে সেই পদ্ধতি করি নাই, যেটা অন্যান্য দেশে হয়-এইবারও সেভাবে হবে,’ বলেন শেখ হাসিনা।