দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কীভাবে সম্পন্ন হবে তা জানতে চেয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। এর বাইরে বাংলাদেশে মানবাধিকার ও শ্রমমানের অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছে ইউরোপের ২৭ দেশের এই সংস্থা।
ইইউর উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি মঙ্গলবার ঢাকায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও শ্রম খাতের কয়েকটি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় বিষয়গুলো জানতে চান। ইইউর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা প্যাম্পালোনি প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ইইউ প্রতিনিধিদলকে জানান, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকার এ ক্ষেত্রে কমিশনকে সকল সহায়তা দেবে।
সরকার মানবাধিকার, শ্রমমান ও কর্মস্থলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও মুখ্যসচিব ইইউ কর্মকর্তাদের জানান।
সরকারের পক্ষ থেকে ইইউকে জানানো হয়, তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন খাতে শ্রমিকদের মধ্যে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে, তার জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শ্রমিকেরা দায়ী নন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে, শ্রমিকদের ব্যবহার করা হচ্ছে।
শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইইউ কর্মকর্তারা শ্রম পরিস্থিতি, শ্রম আইনের সংশোধন ও মজুরিসংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চান।
শ্রমিকনেতারা দলটিকে জানান, সম্প্রতি সরকার শ্রম আইনে যে সংশোধনী এনেছে, তা যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে করা হয়নি। পোশাকশিল্পের জন্য যে মজুরি কাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে, তাও চড়া মূল্যের এই বাজারে যথেষ্ট নয়।
ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলেসহ ইইউ কর্মকর্তারা বৈঠকগুলোয় উপস্থিত ছিলেন।