বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেওয়া চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চম্বল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও স্থানীয় চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কূটনৈতিক বিষয়ে সব নিয়ম ও দায়িত্বকে সম্মান করে এবং অন্য পক্ষের কাছ থেকেও অনুরূপ ব্যবহার আশা করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, যদিও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণত ইউনিয়ন পর্যায়ের যেকোনো নেতাকে যেকোনো অন্যায়ের জন্য সতর্ক করে, তবে সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ মুজিবুল হককে কারণ দর্শাতে বলবে এবং সতর্ক করবে।
তিনি তার এক্স অ্যাকাউন্টে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই বাংলাদেশ সরকার ভিয়েনা কনভেনশন এবং কূটনৈতিক কনভেনশনের অধীনে থাকা বাধ্যবাধকতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কূটনীতিক ও তাদের কর্মী এবং সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা বজায় রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।’
পিটার হাসকে পেটানোর প্রকাশ্য হুমকিকে ‘সহিংস বক্তব্য’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এ বক্তব্যকে তারা খুবই অসহযোগিতামূলক আচরণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব মন্তব্য করেন উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। তিনি বলেন, বিষয়টিকে তিনি বড় পরিসরে বলতে চান। সেটি হচ্ছে, মার্কিন কূটনীতিক ও দূতাবাসের নিরাপত্তার বিষয়টি তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি মনে করেন, এ ধরনের সহিংস বক্তব্য খুবই অসহযোগিতামূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ। তারা আশা করেন, যেকোনো স্বাগতিক দেশের সরকার মার্কিন কূটনীতিক ও স্থাপনার নিরাপত্তা বজায় রাখতে সব ধরনের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
গত সোমবার এক সমাবেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে পেটানোর হুমকি দেন চট্টগ্রামের বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী । তিনি তার বক্তব্য নিজের ফেসবুক লাইভেও প্রচার করেন।