ভারত থেকে ডিমের প্রথম চালান দেশে এসেছে। আজ রোববার সন্ধ্যায় প্রথম ধাপে দুটি ট্রাকে ৬২ হাজার ডিম আমদানি করা হয়েছে। আমদানিসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে খোলাবাজারে ডিমের হালি ৪০ টাকার কমে বিক্রি করা সম্ভব হবে।
ডিম ছাড়কারী সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান এমই এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মহিদুল হক রুবাই বলেন, ভারত থেকে প্রথম চালানে ৬১ হাজার ৯৫০টি ডিম আমদানি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ডিমের বাকি চালান দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্দরে আসবে।
তিন মাস আগে নানা কারণ দেখিয়ে দেশের বাজারে ৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩-১৪ টাকায় ডিম বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। সরকার বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। বাধ্য হয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। অবশেষে আজ সন্ধ্যায় প্রথম চালানে ভারত থেকে ৬১ হাজার ৯৫০ ডিম আমদানি হয়।
এসব ডিমের আমদানি মূল্য ধরা হয় ২ হাজার ৯৮৮ ইউএস ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৩ লাখ ২৮ হাজার ৭০০ টাকা। প্রতিটি ডিমের ভারতে কেনা মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা। ট্রাক ভাড়াসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে খোলাবাজারে এসব ডিম প্রতিটি ১০ টাকার কমে বিক্রি করা সম্ভব হবে। আমদানিতে সিন্ডিকেট ভেঙে বাজার অনেকটা স্বাভাবিক হবে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাজার স্বাভাবিক করতে গত সেপ্টেম্বরে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইমপোর্টার্স অ্যান্ড সাপ্লায়ার্স, টাইগার ট্রেডিং এবং অর্ণব ট্রেডিং লিমিটেড। আমদানি শর্তে বলা হয়, ডিম ভাইরাসমুক্ত থাকতে হবে।
এদিকে ডিম আমদানির খবরে খুশি ক্রেতারা। মফিজুর রহমান নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘বেশি দামে ডিম কেনা কঠিন হয়ে পড়েছিল। এখন আমদানিতে বাজারে দাম কমবে বলে আশা করছি।’
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক-বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বিপুল বলেন, ‘সিন্ডিকেট করে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করছিল দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীরা। ডিম আমদানির ফলে দেশে যে সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছিল, তা এখন ভাঙবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল স্থলবন্দর প্রাণিসম্পদ কোয়ারেন্টিন অফিসের ইনচার্জ বিনয় কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ডিমবাহী ট্রাক বন্দরে ঢোকার পর সেটি ভাইরাসমুক্ত বা খাওয়ার উপযোগী কি না তা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় তা মান উত্তীর্ণ হওয়ায় বন্দর থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।