সচিব ছাড়া নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের কেউ গণমাধ্যমে কথা বলতে পারবেন না। সচিবকে মুখপাত্র করে অফিস আদেশ জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। আদেশটি জারি করার পর এ নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি কোনো নির্বাচন কমিশনারও।
আজ রোববার জারি করা এ-সংক্রান্ত আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম। অফিস আদেশে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন (কার্যপ্রণালি) বিধিমালা, ২০১০-এর বিধি ১১ (৩)-এর আলোকে কমিশনের মুখপাত্র হিসেবে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিকে ব্রিফ করার জন্য সচিবকে মনোনীত করা হয়েছে। ইসির প্রতিনিধি হিসেবে সচিব গণমাধ্যমকে ব্রিফিং করবেন এবং তিনি কমিশনের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
জানা যায়, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনাররা বিভিন্ন ইস্যুতে বক্তব্য দেওয়ায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল তা ভালোভাবে নেননি। কমিশনারদের গণমাধ্যমে কথা না বলার অনুরোধও জানিয়েছেন কমিশনারদেরই কাউকে কাউকে। পরে কমিশনের মুখপাত্র নির্ধারণের পরামর্শ আসে। পরবর্তীকালে সিইসির নির্দেশনায় এ-সংক্রান্ত নথি উপস্থাপন করা হলে সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনার তাতে স্বাক্ষর করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন (কার্যপ্রণালি) বিধিমালা ২০১০-এর বিধি ১১ (৩)-তে বলা আছে যে—কমিশনের ক্ষমতাপ্রাপ্ত প্রতিনিধি হিসেবে সচিব গণমাধ্যমকে ব্রিফিং প্রদান করিবেন এবং কমিশন কর্তৃক এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত না হইলে সচিব ব্যতীত অন্য কোনো কর্মকর্তা গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য রাখিতে পারিবেন না।’
তিনি বলেন, তাই জনসংযোগ শাখা থেকে নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র নির্ধারণ-সংক্রান্ত যে আদেশটি জারি করা হয়েছে, সেটি নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। নির্বাচন কমিশনারদের গণমাধ্যমে কথা বলা বা না বলার বিষয়টি এর সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে উল্লেখ করেন আহসান হাবিব।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও এমন অফিস জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। নভেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করে জানুয়ারির প্রথমার্ধের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায় নির্বাচন কমিশন।