স্কুল শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ও গবেষণাধর্মী প্রকল্প প্রদর্শন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কুইজ ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী উৎসব এর প্রথম আসর।
আজ সকালে শেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়োজনে শ্রেণি ভিত্তিক বিজ্ঞান ক্লাবের অংশগ্রহণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস।
কৃষিতে স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহার, দূষণমুক্ত স্মার্ট নগরী, ভূমিকম্প সহনীয় ভবনসহ পরিবেশ রক্ষায় নিজেদের উদ্ভাবিত নানা প্রকল্প নিয়ে হাজির ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা। সবুজে ঘেরা ক্যম্পাসে বিভিন্ন স্টলে বসেছে শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত মিলনমেলা। প্রথমবারের মতো এ উৎসবে অংশ নিতে পেরে খুশি ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থী কানিজ ফাতেমা বলেন, আমরা এই উৎসবের মাধ্যমে বিজ্ঞান চর্চার সুযোগ পাই। গ্রুপ ভিত্তিক এই কাজের মাধ্যমে সবার সাথে কাজ করার সুযোগ হয়। আমরা চাই প্রতিবছর এই উৎসব হোক, তাহলে আমাদের বিজ্ঞান চর্চা আরো গতিশীল হবে।
অথই দে বলেন, আমাদের জন্য এই উৎসবটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শ্রেণি ভিত্তিক পাঠ চর্চার পাশাপাশি বিজ্ঞান ক্লাবের মাধ্যমে বিজ্ঞান চর্চার সুযোগ পাচ্ছি। যা আমাদের ব্যক্তি জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।
প্রতি বছর স্কুল ভিত্তিক এ আয়োজনে বিজ্ঞান চর্চার প্রতি ঝোঁক বাড়বে শিক্ষার্থীদের, এমনটাই বলছেন অভিভাবকরা। অভিভাবক মিজানুর রহমান বলেন, প্রতি বছর এই আয়োজন হলে, শিক্ষার্থীরা আরো বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে নিজেদের গড়ে তুলতে পারবে। তাদের বিজ্ঞান চর্চার প্রতিও ঝোঁক বাড়বে।
এদিকে প্রতিটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে নিয়মিত বিজ্ঞান উৎসব আয়োজনের কথা বলছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান। তিনি বলেন, নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার বদলে এসব উৎসবের মাধ্যমে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। এতে তাদের পরীক্ষা ভীতিও দূর হবে।
শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস বলেন, উপজেলা পর্যায়ে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান ক্লাবকে আরো গতিশীল করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি বিদ্যালয়েই আমরা বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী উৎসবের আয়োজন করবো। পরবর্তীতে উপজেলা ভিত্তিক উৎসবের আয়োজনও করা হবে।