জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসি কার্যালয়ের সচিব জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ৪ নভেম্বর ৪৪টি দলের সঙ্গে কমিশন বসবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতির ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকে জানাতে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
ইসি সচিব বলেন, সংলাপের জন্য দলগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বা তাদের নির্ধারণ করা দুই প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানাবে নির্বাচন কমিশন। নিবন্ধিত সবগুলো দলকে দুই ভাগে সংলাপের জন্য ডাকা হবে।
নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। বিএনপি চাইছে, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। অন্যদিকে বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনের ব্যাপারে অনড় রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এই ইস্যুতে বিএনপির চলমান আন্দোলনের মধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সংলাপে বসার উদ্যোগের কথা জানাল ইসি।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের সাংগঠনিক সক্ষমতা ও জনমত পক্ষে টানতে কয়েক মাস ধরে সারা দেশে সমাবেশ ও পাল্টা-সমাবেশের কর্মসূচি দিচ্ছে।
সংবিধান অনুযায়ী সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন হতে হবে। বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৯ জানুয়ারি। হিসাব অনুযায়ী, ৯০ দিনের গণনা শুরু হবে ১ নভেম্বর থেকে।
নির্বাচন কমিশন নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তফসিল ঘোষণা ও জানুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে। এর আগে গত বছরের জুলাইয়ে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনা তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে ইসি। তবে বিএনপি ও আটটি বিরোধী দল ওই সংলাপে অংশ নেয়নি। তারা বলছে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পক্ষে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়।
চলতি বছরের মার্চে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বিএনপিকে আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়ে আধা সরকারি চিঠি দিয়েছিলেন। তবে বিএনপি ওই আমন্ত্রণে সাড়া দেয়নি।