ভোলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন চারটি সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বদলে গেছে ভোলার যোগাযোগব্যবস্থা। এসব সেতু স্থানীয় মানুষের জীবনমান উন্নয়নেও ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। ১৯ অক্টোবর দুপুরে সড়ক বিভাগ কর্তৃক নির্মিত দেশের ১৫০টি সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে ভোলায় নির্মিত হয়েছে চারটি সেতু।
সেগুলো হলো- দৌলতখান উপজেলার বক্সেআলী সেতু, বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাইপাস সেতু, লালমোহন উপজেলার নাজিরপুর সেতু ও চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ সেতু। এ চারটি সেতুর মধ্যে তিনটি সেতুই ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের অধীন।
ভোলা সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের ২২ কিলোমিটারের মাথায় দৌলতখানের বক্সেআলী সেতু। প্রায় ৩২ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে আট কোটি ৯৩ লাখ টাকা। ২০২১ সালে এটি নির্মাণ শুরু হয়ে শেষ হয়েছে চলতি বছরের জুন মাসে।
ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের ২৯ কিলোমিটার দূরত্বে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাইপাস সেতু। এটির দৈর্ঘ্য ৩৪.৮৮ মিটার। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। ২০২১ সালের প্রথম দিকে এই সেতুর কাজ শুরু হয়ে ২০২৩ সালের জুনে শেষ হয়।
ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কের ৮৫ কিলোমিটার দূরত্বে চরফ্যাশনের শশীভূষণ সেতু। প্রায় ৩২ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এটিও একই সঙ্গে কাজ শেষ হয়।
এ ছাড়া লালমোহন উপজেলার দেবীরচর-নাজিরপুর-লালমোহন মহাসড়কের পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে কচ্ছপিয়া খালের ওপর নির্মাণ করা হয়েছে নাজিরপুর সেতু। ৪৪.২ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে ছয় কোটি আট লাখ টাকা।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের বাস্তবায়নকৃত এই চারটি সেতুর মধ্যে তিনটিই ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থিত। এর আগে এ স্থানে অস্থায়ী বেইলি ব্রিজ ছিল, যা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের সময় অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হতো। কিন্তু এ তিনটি সেতু নির্মাণ হওয়ায় ভোলা জেলার একমাত্র মহাসড়কটি দিয়ে যান চলাচলসহ পণ্যবাহী ট্রাক ও লরি চলাচলেও ভোগান্তি কমেছে।
ভোলা বাস মালিক সমিতির ডিপো কর্মকর্তা মো. আকতার হোসেন মনজু বলেন, ‘ভোলা-চরফ্যাশন সড়কের একাধিক জায়গায় ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি ব্রিজের কারণে প্রায়ই বাস দুর্ঘটনা হতো। কিন্তু বর্তমানে বেইলি ব্রিজ ভেঙে নতুন সেতু করায় এ থেকে বাসচালকরা পরিত্রাণ পেয়েছেন।’