প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ৮টি বিভাগের ৩৯টি জেলায় ১ দিনে ১৫০ সেতু উদ্বোধন করেছেন। এটি এক দিনে সবচেয়ে বেশি সেতু উদ্বোধনের ঘটনা, যা দেশের সড়ক যোগাযোগব্যবস্থাকে আরও জোরদার করবে।
প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সড়ক ভবনে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে নবনির্মিত সেতুগুলোর উদ্বোধন করেন। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল উন্মোচন এবং সড়ক পরিবহন চত্বরে একটি গাছের চারা রোপণ করেন তিনি।
সেতুগুলোর মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগে ৪০টি, ঢাকায় ৩২, চট্টগ্রামে ২৭, রাজশাহীতে ২২, খুলনায় ১২, বরিশাল ও রংপুরে ৮টি করে এবং সিলেটে ১টি সেতু রয়েছে।
শেখ হাসিনা আজ মহাসড়কের ১৪টি ওভারপাসও উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে আটটি রাজশাহী বিভাগে এবং ছয়টি রংপুরে। এ ছাড়া তিনি ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর দুটি বড় সেতু, কেওয়াটখালী সেতু এবং রহমতপুর সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
কেওয়াটখালী সেতু নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ হাজার ২৬৩ দশমিক ৬৩ কোটি টাকা, যা দেশের বৃহত্তম স্টিল-আর্ক ব্রিজ হবে এবং ১ হাজার ৪৭১ মিটার দীর্ঘ রহমতপুর সেতু নির্মাণে ৩৫৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে। আগামী ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে সেতুগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হবে। প্রকল্পগুলো সড়ক ও জনপথ বিভাগের (আরএইচডি) অধীন বাস্তবায়িত হয়েছে।
এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর মিরপুরে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ বছরের জন্য স্বয়ংক্রিয় যানবাহন পরিদর্শন কেন্দ্র (ভিআইসি), তেজগাঁওয়ে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের একটি নবনির্মিত ভবন এবং ময়মনসিংহে বিআরটিসির বাস ডিপো ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র উদ্বোধন করেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৬২ জন ও তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৭ কোটি টাকা প্রদান করে ক্ষতিপূরণ কর্মসূচি চালু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু খাতের উন্নয়ন নিয়ে ‘উন্নয়ন দর্পন’ নামে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের (আরএইচডি) সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী এবং এর প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ মঈনুল হাসানও বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানে। ঢাকার মিরপুর বিআরটিএ এবং ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও সাধারণ মানুষ এই কর্মসূচিতে যুক্ত হন।