প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বুধবার সন্ধ্যায় জরুরি বৈঠক করেছেন ওআইসির সদস্যভুক্ত ১৪ দেশের রাষ্ট্রদূতরা। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনিদের পাশে আছে।
ফিলিস্তিন ও গাজায় দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর চলমান হামলা ও এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশসহ ওআইসির অন্যান্য দেশগুলোর অবস্থান ও করণীয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন ফিলিস্তিন, সৌদি আরব, আলজেরিয়া, মরক্কো, কাতার, লিবিয়া, তুরস্ক, ইরান, ব্রুনেই, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরাক, ওমান, ইন্দোনেশিয়া ও মিশরের রাষ্ট্রদূত।
এর আগে বুধবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় টেলিফোনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে প্রধানমন্ত্রী জরুরি ভিত্তিতে ফিলিস্তিনের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ মানুষের জন্য ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাতে নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গতকাল (ইসরায়েল কর্তৃক গাজায়) হাসপাতালে বোমা হামলা চালিয়ে মানুষ ও শিশুদের হত্যা এবং শিশুদের রক্তমাখা মুখ দেখেছি। আমি বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানাচ্ছি-যুদ্ধ ও অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে।
তিনি বলেন, যুদ্ধ এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা কখনোই মানবজাতির জন্য ধ্বংসের পরিবর্তে কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। যুদ্ধে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অস্ত্র প্রতিযোগিতার অর্থ সারাবিশ্বের শিশুদের কল্যাণে ব্যয় করা হোক।
১৯৬৯ সালের ২১ আগস্ট জেরুজালেমে পবিত্র মসজিদুল আকসায় অগ্নিসংযোগ করে ইসরাইল। এতে সমগ্র মুসলিম বিশ্বে প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এ সময় ১৪টি আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মিসরের রাজধানী কায়রোতে বৈঠক করেন। ওই বছরের ২২ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর মরক্কোর রাবাতে ২৫টি মুসলিমপ্রধান দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে একটি সম্মেলন হয়। সম্মেলনে সব রাষ্ট্রের প্রতিনিধির সিদ্ধান্তে ২৫ সেপ্টেম্বর ওআইসি গঠন করা হয়।
১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত ওআইসির তৃতীয় শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য পদ লাভ করে বাংলাদেশ। ওই সম্মেলনে যোগ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।