মাদারীপুরের কলেজ রোড এলাকায় দুই নারীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আরও তিনজনকে।
পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজ রোড এলাকায় শনিবার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো দুজন হলেন ২০ বছর বয়সী সাগরিকা আক্তার ও তার বান্ধবী ২৬ বছর বয়সী পারুল আক্তার। সাগরিকা শহরের উকিলপাড়া এলাকার এবং পারুল ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য, এ বছরের পয়লা অক্টোবর মা, মেয়ে ও মামা ওই এলাকার একটি বাসায় ভাড়া ওঠেন। শনিবার রাতে বাসায় আসে অপরিচিত আরও তিন থেকে চার নারী। পরে রাত আড়াইটার দিকে হঠাৎ চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে কক্ষে ছুটে যান বাসার কেয়ারটেকার হেলাল সরদার। পরে মেঝেতে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন সাগরিকা আক্তার নামের নারীকে। এ ছাড়া অসুস্থ অবস্থায় সাগরিকার বান্ধবী পারুল, তার মা পান্না আক্তার, মামা বাবু মন্ডল, ডালিয়া বেগম ও সাবিনা ইয়াসমিনকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক পারুলকে মৃত ঘোষণা করেন। মারা যাওয়া দুইজন বান্ধবী ছিলেন।
সাগরিকার মামা বাবু মিয়া বলেন, ‘আমার ভাগনি কোথা থেকে মদ নিয়ে এসে আমাকে খাওয়ার জন্য জোরাজুরি করে। পরে বাধ্য হয়ে ভাগনির মন রক্ষায় আমিও মদপান করি। পরে আমার আর কিছু মনে নেই। চোখ মেলে দেখি আমি হাসপাতালে। পরে জানতে পারি, ওই মদ খেয়ে আমার ভাগনি আর ওর বান্ধবী মারা গেছে। আমি এর বেশি জানি না।’
স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন মৃধা বলেন, ‘সকালে চিল্লাপাল্লায় ওই বাসায় এসে শুনি মদ খেয়ে দুই মেয়ে মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে ভর্তি। কিছুদিন আগে ওই বাসায় ভাড়া ওঠেন পান্না বেগম নামের এক নারী। তারা তিনজন বাড়িতে থাকতেন। মাঝে মাঝে কিছু লোকজনও আসা-যাওয়া করত ওই বাসায়। সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানাই।’
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, মদ পানের কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে। দুজনের মরদেহ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ভর্তি তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।