1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ বরিশাল থেকে ধরে আনা কর্মকর্তাকে ঢাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন: ড. ইউনূস আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায় শেয়ারবাজারে কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল নাহিদ-আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই নেমেছিল: সারজিস বাংলাদেশিদের ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ দেবে আল-আজহার

হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে ৩ কেজি স্বর্ণসহ এক যাত্রীকে গ্রেপ্তার

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৩

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চোরাচালান প্রতিরোধে পরিচালিত এয়ারপোর্ট এপিবিএন- এনএসআই যৌথ অভিযানে ৩ কেজি ২৩১ গ্রাম স্বর্ণ সহ এক যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বিকাল ০৫ টায় আগমনী কনকোর্স হলের সামনে থেকে অভিযুক্ত যাত্রী মো: সুমন হোসেন(৪৩) আটক করা হয়।

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এপিবিএন এবং এনএসআই এর একটি যৌথ আভিযানিক দল শারজাহ থেকে আসা যাত্রী মো: সুমন হোসেনকে আটক করে। এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে তিনি বিকাল বেলা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরন করেন। বিমানবন্দরে অবতরনের পর সকল কার্যক্রম শেষে অভিযুক্ত সুমন কাস্টমস গ্রীন চ্যানেল অতিক্রম করলে আভিযানিক দল কনকোর্স হলের সামনে তাকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন তার পায়ুপথে স্বর্ণ রয়েছে।

এসময় তাকে কাস্টমসের বডি স্ক্যানারে স্ক্যান করানো হলে তার কথার সত্যতা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে তার দেহের কোন অংশে স্বর্ণ লুকানো আছে তা নিশ্চিত হওয়া লক্ষ্যে আসামীকে উত্তরা ০১ নং সেক্টরের জাহান আরা ক্লিনিকে এক্সরে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এক্সরে পরীক্ষার পর যাত্রীর পায়ুপথ ও তলপেটে স্বর্ণের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত করেন ডাক্তার। এরপর যাত্রীকে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের বিমানবন্দর অফিসে নিয়ে আসা হয়। বিমানবন্দরে নিয়ে আসার পর যাত্রী সুমন ধীরে ধীরে প্রাকৃতিক কার্যের মাধ্যমে তার পায়ুপথ ও তলপেটে লুকিয়ে রাখা ডিম্বাকৃতির পেস্ট গোল্ডের প্যাকেট বের করতে থাকেন।

এ সময় অভিযুক্ত মোট ১৩ টি ডিম্বাকৃতি গোল্ড প্যাকেট বের করে নিজ হাতে ধৌত করেন। এই প্যাকেটগুলি নীল রঙ এর প্লাস্টিকে মোড়ানো ছিল। ওজন করা হলে প্রতিটি প্যাকেটে ২৩২ গ্রাম করে মোট ০৩ কেজি ১৬ গ্রাম স্বর্ণ পাওয়া যায়। এছাড়াও যাত্রীর পরিহিত পোশাকের পকেট থেকে আরো ১ টি গোল্ডবার(১১৬ গ্রাম) এবং ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকার সহ মোট ৩ কেজি ২৩১ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়। পেস্ট গোল্ড সহ অন্যান্য গোল্ডের রাসায়নিক পরীক্ষার মাধ্যমে উদ্ধারকৃত পদার্থ স্বর্ণ বলে জানা যায়। এই স্বর্ণের আমদানী এবং শুল্ক পরিশোধের কোনো ধরনের রশিদ তিনি এসময় দেখাতে ব্যর্থ হন এবং স্বীকার করেন যে তিনি স্বর্ণ পাচারকারী চক্রের সাথে যোগসাজশে স্বর্ণ পাচারের চেষ্টারত ছিলেন।

যাত্রী মো: সুমনকে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, যে শারজাহ প্রবাসী মিজান এবং আনোয়ার অর্থের বিনিময়ে তাকে এই স্বর্ণ পাচারের জন্য প্রস্তাব করলে তিনি তাতে রাজি হন এবং বিশেষ কৌশলে এই স্বর্ণ নিজের দেহে বহন করে বাংলাদেশে নিতে আসেন। এই কাজে সফল হলে তার ৭০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা ছিল।

অভিযুক্ত যাত্রী মো: সুমন হোসেন মুন্সিগঞ্জ সদরের বাসিন্দা, তার পিতার নাম ইসমাইল হাওলাদার। ব্যাগেজ সুবিধা ব্যবহার করে পন্য আমদানীর জন্য তিনি নিয়মিত বিদেশে যাওয়া আসা করেন। তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩