আজ ১৪ অক্টোবর, টাক হওয়ার দিন। ইংরেজিতে দিবসটির নাম ‘বি বোল্ড অ্যান্ড বি ফ্রি ডে’; অর্থাৎ টাক হোন, মুক্ত থাকুন দিবস!
ন্যাড়া বেলতলায় কবার যায়- এটা নিয়ে বিস্তর গবেষণা হতে পারে! যাদের মাথায় টাক আছে, তাদের প্রায়ই মন খারাপ হয়। তবে কিছু কারণ আছে, যেগুলো শুনে যারা টেকো তাদের বরং গর্বিত হওয়া উচিত। আর টাক নিয়ে কত কবিতা ছোটবেলায় শুনেছি—
‘দাদুর মাথায় টাক ছিল, সেই টাকে তেল মাখছিল
এমন সময় বোলতা এসে হুল ফুটিয়ে পালায় শেষে
ঘুলিয়ে দিল বুদ্ধি দাদুর ফুলিয়ে দিল টাক টারে।’
নিজের ইচ্ছেতে অনেক মানুষ মানুষের মাথা ন্যাড়া হয়ে যান। সেই প্রাচীন রোম থেকে শুরু! গত শতকের পঞ্চাশের দশকে ন্যাড়া হওয়াটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়ায়। ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি দিলে অনেকের মাথার চুল ঝরে যায়। ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের প্রতি সমর্থন ও সহানুভূতি জানাতে নানা সময় নানা দেশে মাথা ন্যাড়া করার প্রচলন হয়। বি বোল্ড অ্যান্ড বি ফ্রি ডে উদ্যাপন তেমনই একটি প্রচার। গত শতাব্দীর আশির দশকে টমাস ও রুথ রয় দিবসটি চালু করেন।
এদিকে ঢাকার যেই পরিবেশ, আমরা যদি চুল একটু ছোট করে রাখি, তাহলে ধুলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আবার জেল ব্যবহারে চুলের যে ক্ষতি হয় সেটি কিছুটা প্রতিরোধ করা যায়। এ ধরনের সমস্যা প্রতিরোধে চুল ছোট করে রাখার একটি ভালো বিষয় বলেই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
যারা চুল পড়া সমস্যায় ভুগেন, তাদের মাথায় টাক পড়ে যাওয়ার পেছনে প্রধান এবং একমাত্র কারণ খুশকি। এই খুশকির কারণেই আপনার মাথায় চুল টিকতে পারেনা। এই খুশকি যতদিন আপনার মাথায় আছে,ততদিন কোন দুর্বল চুল আপনার মাথায় টিকতে পারবেনা। আর এই খুশকি পুরোপুরিভাবে নির্মূল করতে মাথা ন্যাড়া করার বিকল্প নেই।