ময়মনসিংহের ত্রিশালে ছয়জনকে পিষে মারার ১২ ঘণ্টা পর ঘাতক বাস চালককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত চালকের নাম ওবায়দুল্লাহ (২০)। বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ত্রিশালের বাগান এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। সে ত্রিশালের সাখুয়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের মো. সূর্য্যত আলীর ছেলে।
ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইন উদ্দিন জানান, আটককৃত চালকের কোনো লাইসেন্স নেই। বাসের হেলপারি করতে করতে চালক হয়েছে সে এবং গত ছয়মাস ধরে বাসটির চালকের আসনে বসছিল।
এদিকে নিহত ছয়জনের মধ্যে আগে পাঁচজনের পরিচয় মিললেও গার্মেন্টকর্মী রিপা আক্তার (২৮) এর পরিচয় মিলেছে সন্ধ্যায়। তিনি ত্রিশাল সদরের সতেরপাড়া গ্রামের সুরুজ আলীর মেয়ে। এতে রিপাসহ নিহত ছয়জনের পাঁচজনই গার্মেন্টকর্মী।
নিহত অন্যরা হলেন- ময়মনসিংহ সদরের চুরখাই এলাকার খায়রুজ্জামান লিটন (২৮), বাড়েরারপাড় ভাটিপাড়া এলাকার শিমুল আহমেদ জয় (২০), ত্রিশাল উপজেলার কাঠাল ইউনিয়নের হদ্দের ভিটা গ্রামের মাহমুদুল হাসানের স্ত্রী এলাকার জেসমিন আক্তার (২১), সাখুয়া ইউনিয়নের গন্ডখোলা এলাকার বখতিয়ার হোসাইন সোহেল (৩৫), ঈশ্বরগঞ্জের সরিষা ইউনিয়নের মারুয়াখালি এলাকার আলতাব হোসেন (৬০)। তাদের মধ্যে আলতাব হোসেন গাজীপুরে কসাইয়ের কাজ করেন এবং বাকিরা ভালুকায় বিভিন্ন পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
এর আগে, সকালে শেরপুর থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এসএস ট্রাভেলস নামের একটি বাসে ময়মনসিংহ সদরের চুরখাই ও ত্রিশালের বিভিন্ন এলাকা থেকে গার্মেন্টসকর্মীরা ওঠেন। সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে চেলেরঘাট এলাকায় যেতে বাসটির চাকা পাংচার হয়। এ সময় বাসটি সড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে মেরামত করছিল। এতে গার্মেন্টসকর্মীরা নেমে অন্য বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। এরই মধ্যে তারা ইসলাম পরিবহনের আরেকটি বাসকে সিগন্যাল দিয়ে দাঁড় করান। এ সময় রাসেল স্পিনিং মিলের বাসটি ওই যাত্রীদের উঠানোর জন্য দুই বাসের মাঝখানে ঢুকিয়ে দেয়। তবে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের চাপা দেয় বাসটি। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন এবং ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুইজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে আরও পাঁচজন ময়মনসিংহ মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে।