হামাস-ইসরায়েল সংঘাতের মধ্যে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এসময় তিনি বলেছেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন চলমান উত্তেজনা প্রশমনে সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা করছে সৌদি আরব।
মোহাম্মদ বিন সালমানের অফিস থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে যুবরাজ বলেছেন, চলমান উত্তেজনা থামাতে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সব পক্ষের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা করছে সৌদি আরব।
এতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়, একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবন প্রতিষ্ঠা, তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করায় এবং একটি ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তি অর্জনে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো অব্যাহত রাখবে সৌদি আরব।
এসময় ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের প্রশ্নে সৌদি আরবের দৃঢ় অবস্থান ও প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং সৌদি নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান।
এর আগে, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সাম্প্রতিক সংঘাতে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছে কাতার, ইরান, চীনের মতো দেশগুলো।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে চলমান সহিংসতা ও উত্তেজনার জন্য ইসরায়েল একাই দায়ী।
ইসরায়েলে হামাসের সশস্ত্র হামলায় সমর্থন দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ ইরান। এই হামলায় তেহরানের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পশ্চিমারা। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর বাইরে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে কথা বলেছে এশীয় পরাশক্তি চীন। ইসরায়েলে-ফিলিস্তিন সংঘাত বন্ধে দুটি পৃথক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই একমাত্র সমাধান বলে উল্লেখ করেছে বেইজিং।