ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়কেই সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। উভয়পক্ষের মধ্যে চলমান সহিংস সংঘাতের নিন্দা এবং এর ফলে নিরপরাধ বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ও হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ঢাকা। আজ রোববার (৮ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শুধু সংলাপ ও কূটনীতিই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের স্থায়ী সমাধান ঘটাতে পারে। এ লক্ষ্যে কাজ করার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।’
সংঘাত ও সহিংসতা বৃদ্ধির ফলে কোনো পক্ষই লাভবান হবে না উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘আমরা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন উভয়কেই সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি এবং উভয় পক্ষের নিরপরাধ প্রাণহানি এড়ানোর জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাচ্ছি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব ও জোরপূর্বক বসতি স্থাপন এ অঞ্চলে শান্তি বয়ে আনবে না। ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলকে জাতিসংঘের রেজুলেশন-২৪২ ও ৩৩৮ অনুসরণ করে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পাশাপাশি বসবাস সমর্থন করে বাংলাদেশ, যা এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে পারে।’
বিবৃতিতে সংঘাতে মাত্রাতিরিক্ত ও নির্বিচারে বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার কয়েক ঘণ্টা পর শনিবার সকালে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল, এতে ২৩২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ১৬০০ জনের অধিক। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। ইসরায়েলের ইতিহাসে শনিবার (৭ অক্টোবর) স্মরণকালের হামলা চালিয়েছে হামাস। ইসরায়েলের অভ্যন্তরে হাজার হাজার রকেট হামলা চালায় হামাস।
ইসরায়েলের জাতীয় উদ্ধার সহায়তাকারীরা জানান, হামাসের হামলায় ৩০০ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছেন শতাধিক। ইসরায়েলের ইতিহাসে এটি ভয়াবহ হামলা। হামলা চালিয়েছে হামাসের সৈন্যরা অসংখ্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্য এবং নাগরিকদের আটক করে গাজায় নিয়ে গেছে। হামাস এবং ইসরায়েলের পক্ষ থেকে শনিবার বলা হয়েছে, ইসরায়েলের অভ্যন্তরে বহু স্থানে বন্দুক যুদ্ধ চলছে।