শেরপুরের শ্রীবরদীতে জীবিত বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী তক্ষকসহ ৪ ব্যক্তিকে গ্রেপ্ততার করেছে পুলিশ। ৬ অক্টোবর শুক্রবার রাতে উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা বাজারের গরুহাটির পাশে পাকা সড়ক থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের আব্দুল খালেক ঢালির ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০), ভায়াডাঙ্গা গ্রামের সুলতান মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া (৩০), পোড়াগড় গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে সুজন মিয়া (২৩) ও শেরপুর সদর উপজেলার বামনেরচর গ্রামের শাজাহান মিয়ার ছেলে শাহিন মিয়া (১৯)। শনিবার সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত একটি চক্র উচ্চ মূল্যের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী তক্ষক কেনাবেচা ও সরবরাহ করে আসছে। এতে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। শুক্রবার রাতে তক্ষক কেনাবেচার গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলার রাণীশিমুল ইউনিয়নের ভায়াডাঙ্গা এলাকায় শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম খান সিদ্দিকীর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ভায়াডাঙ্গা বাজারের গরুহাটির পাশে পাকা সড়ক থেকে বেচাকেনা করার সময় জীবিত একটি তক্ষকসহ ৪জনকে আটক করা হয়।
শ্রীবরদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আক্তারুজ্জামান জানান, উদ্ধারকৃত তক্ষকের রং উজ্জ্বল সিলভার ও লাল ডোরাকাটা। লম্বায় ১৬ ইঞ্চি, ওজন ১৩৫ গ্রাম। যার মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা বলে গ্রেপ্তারকৃতরা জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম খান সিদ্দিকী জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা হয়েছে। বিষয়টি আরও তদন্তের লক্ষে শনিবার ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।