পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘একটি বৈশ্বিক শক্তি হিসেবে তারা (আমেরিকা) অবশ্যই অন্যদের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে, তবে আমরা চিন্তিত না। কারণ আমরা জানি কীভাবে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হয়। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করতে সক্ষম।’
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেমন গণতান্ত্রিক দেশ, তেমনি আমরাও। আওয়ামী লীগের ভোটাররা মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিন্তিত নয়। কারণ তারা বেশিরভাগ উন্নয়নশীল এই দেশেই থাকতে চায় তারা যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ভাবছে না।
শনিবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেন অবাদ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয় তার জন্য বাংলাদেশকে চাপে রেখেছে ওয়াশিংটন। শুধু তাই নয় গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা গত বৃহস্পতিবার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ‘আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে’ ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বিধিনিষেধের কথা বলার চার মাস পর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয় ওয়াশিংটন।