কর্মস্থল, এয়ারপোর্ট, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন, শপিংমলের মতো জনসমাগমস্থলে এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত ও ব্যবস্থাপনায় বিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের নির্দেশনা দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে প্রথম ৯ মাসের কোনো শিশুর রিটে এ রায় দিয়েছেন দুই বিচারপতি। রায়ের শেষে আদালত উল্লেখ করেন, এর আগে কখনই ৯ মাস বয়সি শিশু রিট করেনি। এই শিশু ইতিহাস সৃষ্টি করল।
মঙ্গলবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় প্রকাশ করেন। হাইকোর্ট রায়ে বলা হয়েছে, শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পানের বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং গুরুত্বপূর্ণ।
এটা কোনভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই যে একটি শিশুর জন্মের পর থেকে দুই বছর পর্যন্ত তার মাতৃদুগ্ধ প্রয়োজন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, মায়েরা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং রুমের ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক।
২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর কর্মস্থল, এয়ারপোর্ট, বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে স্টেশন, শপিংমলের মতো জনসমাগমস্থলে এবং সরকার নিয়ন্ত্রিত, পরিচালিত ও ব্যবস্থাপনায় বিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনে রিট করা হয়। ৯ মাস বয়সি শিশু উমাইর বিন সাদী ও তার মা সুপ্রিমকোর্টের অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ রিট করেন।