1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ বরিশাল থেকে ধরে আনা কর্মকর্তাকে ঢাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন: ড. ইউনূস আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায় শেয়ারবাজারে কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল নাহিদ-আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই নেমেছিল: সারজিস বাংলাদেশিদের ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ দেবে আল-আজহার

২৬ সেপ্টেম্বর ভিন্নরকম হরতালের ডাক!

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার হরতাল। তবে এই হরতাল দেশের চিরচারিত হরতালের মতো সহিংস নয়। একেবারেই ভিন্ন রকম পদ্ধতিতে চলবে এই হরতাল। হরতাল আহ্বানকারীরা যাকে আখ্যা দিয়েছেন ‘অহিংস’ হরতাল হিসেবে। হরতালের ঘোষণায়ও বলা হয়েছে- এই হরতালে গাড়ি চলবে, দোকানপাটও খুলবে, দেওয়া হবে না কোনো বাধা। হবে না কোনো পিকেটিং বা মারামারি।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এমনই ব্যতিক্রমী হরতালের ঘোষণা দিয়েছেন সর্বজন বিপ্লবী দলের আহ্বায়ক প্রকৌশলী ম ইনামুল হক। এদিন বিকেলে শাহবাগের জাতীয় যাদুঘরের সামনে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের দাবিতে দেশপ্রেমিক মঞ্চ আয়োজিত রোড মার্চ ও পথসভা থেকে এই ঘোষণা দেন তিনি। ২০২১ সালের ৩০ জানুয়ারি থেকে প্রতি শনিবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর শাহবাগে জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্রের দাবীতে সমাবেশ ও প্রতি মাসে অন্তত একটি ‘অহিংস’ হরতালের ডাক দিয়ে আসছেন ম ইনামুল হক।

সর্বজন বিপ্লবী দলের হরতালের ঘোষণায় বলা হয়, তাদের এই হরতাল হবে কোনো ধরনের মারামারি বা বাধাহীন স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল। এই হরতালে সকল গণপরিবহন চলবে। জনজীবনের, ব্যবসা-বাণিজ্যের কোনো ক্ষতি করা হবে না। পুলিশের সঙ্গে কোনো মারামারিও হবে না। কিন্তু বিশেষ কাজ না থাকলে দেশবাসীকে বিকেলের আগে ঘর থেকে বের না হওয়া, দোকানপাট বিকেল পর্যন্ত বন্ধ রাখা। ব্যক্তিগত পরিবহন অর্থাৎ মোটরসাইকেল, কার, জিপ, মাইক্রোবাস বের না করার আহ্বান জানান তিনি। একইসঙ্গে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ রাখতেও বলা হয়েছে হরতালের ঘোষণায়।

হরতালের ঘোষণা দিয়ে ম ইনামুল হক বলেন, কোন ব্যক্তি বা দলের স্বার্থে নয়, আমরা জনগণের স্বার্থে, সুশাসনের প্রয়োজনে, জনগণের সংবিধান চাই ও জবাবদিহিতার সরকার চাই। আমরা ভোটকেন্দ্র দখলের, কালো আইনের, কালো টাকার নির্বাচন দূর করতে চাই। আমরা এই লক্ষ্যে ২৬ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী পূর্ণদিবস হরতাল ডাক দিয়েছি। একটি জাতীয় সরকারের অধীনে ভোটকেন্দ্র দখলমুক্ত নির্বাচনের দাবীতে আমাদের এই হরতাল অহিংস, প্রতিকী ও নৈতিক। আমরা আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ সকল দলের গণতন্ত্রকামীদের এই হরতাল সমর্থন আহবান করছি। ভোট ডাকাত অবৈধ হাসিনা সরকারের বিদায়ের দাবীতে অন্যরা হরতাল দিলে আমরা সেই হরতালকে সমর্থন দেবো।

নিজের দলের অবস্থান ব্যাখা করে ম ইনামুল হক বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমাদের স্পষ্ট কথা হলো ভোট ডাকাতির অবৈধ জাতীয় সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে শেখ হাসিনাকে এখুনি পদত্যাগ করতে হবে; জরুরী অবস্থা জারী করে ২০১১ সালের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী স্থগিত করে, স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যে ঐক্যমতের জাতীয় সরকার গঠন করতে হবে; রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশের মাধ্যমে গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের কালাকানুন ১২(৩)এ ধারা এবং ৯০বি(১)এ৩ ধারা বাতিল করে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ করতে হবে। এরপর রাষ্ট্র মেরামত কিভাবে হবে দলগুলি তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দেবে ও জয়ী হয়ে ইশতেহার অনুযায়ী রাষ্ট্র মেরামত করবে।

এর আগে গেল বছরের ২৫ ডিসেম্বর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে দলীয় প্রচারপত্র বিলি করার সময় সর্বজন বিপ্লবী দলের আহ্বায়ক ম ইনামুল হককে কৃষক লীগ কর্মীর মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। মাঠে কোনো তৎপরতা না থাকলেও এ ঘটনায় আলোচনায় আসে বাংলাদেশ নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক এই মহাপরিচালকের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক সংগঠন সর্বজন বিপ্লবী দল।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩