ফরাসি কোম্পানি এয়ারবাসের কাছ থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ। আজ সোমবার সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন ঢাকা সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। ইউরোপীয় উড়োজাহাজ প্রস্তুতকারী কোনো কোম্পানির দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশে প্রথম এমন কোনো চুক্তি হতে যাচ্ছে। যেখানে এই অঞ্চলে মূলত আমেরিকান কোম্পানি বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হয়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে ফরাসি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, এয়ারবাসের এ৩৫০ ওয়াইড বডি উড়োজাহাজ কিনবে বাংলাদেশ। অবশ্য চুক্তি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজ পরিষেবা সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এসব উড়োজাহাজ পরিচালনা করবে।
আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক শেষে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইউরোপীয় উড়োজাহাজ কোম্পানির ওপর আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এয়ারবাসের ১০টি এ৩৫০ উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।’
বিমান বাংলাদেশের বয়স ৫১ বছর। এ সরকারি সংস্থার বহরে থাকা কুড়িটির বেশি উড়োজাহাজ বোয়িং কোম্পানির। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি ওয়াইবডি এয়ারক্র্যাফট। আর কিছু আছে ড্যাশ–৮ টার্বোপ্রোস।
বেসরকারি বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী রয়টার্সকে বলেছেন, ‘প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ দুটি এয়ারবাস উড়োজাহাজের ক্রয়াদেশ দেওয়া হতে পারে।’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক ধাপে ১০টি উড়োজাহাজ কেনা হবে। কারিগরি কমিটি বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। এসব উড়োজাহাজ নতুন এবং পুরোনো রুটে চলাচল করবে। সব দেশের বহরেই বোয়িং এবং এয়ারবাসের উড়োজাহাজ রয়েছে। কিন্তু আমাদের শুধু বোয়িং আছে, এয়ারবাসের একটি উড়োজাহাজও নেই।’
কোভিড মহামারির পর উড়োজাহাজ পরিষেবা ব্যবসা চাঙা হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিমান বাংলাদেশ আরও ওয়াইডবডি এয়ারক্র্যাফট কিনতে চায়। বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চলে সারা বিশ্বের ২০টি গন্তব্যে। এর মধ্যে অন্যতম—ব্রিটেন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং কানাডা।