জেলে থেকে পেশা বদলে মাছে চাষ করে রাষ্ট্রীয় পদক পাওয়া ময়মনসিংহে গৌরীপুরের বর্মণ হ্যাচারির পরিচালক যতীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ এখন প্রশংসায় ভাসছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামবাসীর উদ্যোগে ও মায়ের আর্শীবাদ হ্যাচারির সার্বিক সহযোগিতায় বলেশ্বর বাজারে যতীন্দ্র চন্দ্র বর্মণকে সংবর্ধণা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রামগোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-আমিন জনি প্রধান অতিথি থেকে এলাকাবাসীকে নিয়ে ফুলের মালা ও সম্মাননা ক্রেস্ট দিয়ে যতীন্দ্র চন্দ্র বর্মণকে সংবর্ধিত করেন।
আব্দুল্লাহ আল-আমিন জনি বলেন, যতীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ জেলে ছিলেন। তিনি নদী-নালা-খাল-বিল থেকে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কঠোর পরিশ্রম ও মেধার জোরে শুন্য থেকে উঠে এসে মাছের পোনা উৎপাদন করে রাষ্ট্রীয় পদক পেয়ে আমাদের এলাকার সুনাম বৃদ্ধি করেছেন। আমরা তাঁর এই অর্জনে গর্বিত ও আনন্দিত।
যতীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ বলেন, মাটির ব্যাংকে জমানো পাঁচশো টাকা দিয়ে পুকুর ভাড়া নিয়ে ১৯৯৫ সালে মাছ চাষ শুরু করি। মাছ চাষের আয়ে ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠা করি বর্মণ মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র। রেণু পোনা উৎপাদনের জন্য এবছর রাষ্ট্রীয় পদক পাওয়ার পর থেকেই এলাকাবাসী ও শুভাকাঙ্খীদের প্রশংসায় ভাসছি। আমার এই পদক আমি এলাকাবাসী ও সকল মাছচাষিকে উৎসর্গ করলাম।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন রামগোপালপুর পিজেে উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিন্টু, রামগোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম মাস্টার, ধীরেন্দ্র বর্মণ ও নূরু মিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহসভাপতি শহীদুল্লাহ হুমায়ূন, পল্লী প্রত্যাশার চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জনি, সাগর প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, যতীন্দ্র চন্দ্র বর্মণের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের রামগোপালপুর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামে। চলতি বছর জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে রেণু পোনা উৎপাদনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২৩ জাতীয় মৎস্য পদক পান যতীন্দ্র চন্দ্র বর্মণ। গত ২৫ জুলাই রাজধানী ঢাকার ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিথি থেকে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমীন চৌধুরী জাতীয় মৎস্য পদক (ব্রোঞ্জ) তুলে দেন যতীন্দ্র বর্মণের হাতে।