1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ভোলায় কোস্টগার্ডের সফল অভিযান ‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ বরিশাল থেকে ধরে আনা কর্মকর্তাকে ঢাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন: ড. ইউনূস আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায় শেয়ারবাজারে কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল নাহিদ-আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই নেমেছিল: সারজিস

হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেল বানর!

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ক্ষত নিয়ে দুদিন ধরে হাসপাতালের আশপাশে অসহায়ের মতো ঘুরছিল একটি বানর। বানরটির এই অবস্থা দেখে প্রাণী সম্পদ কার্যালয় ও বন বিভাগে যোগাযোগ করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। কিন্তু দুদিনেও কারো কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে শেষে নিজেই চিকিৎসা দিলেন তিনি। আহত বানরটিও চিকিৎসা পেয়ে চলে গেল বাগানের গাছে। ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে এসে ধাওয়া খেয়ে রক্তাক্ত আহত হওয়া একটি বানর গত দুই দিন ধরে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশপাশে ঘুরছিল। এ দৃশ্য দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বিষয়টি প্রাণী সম্পদ কার্যালয় ও বন বিভাগকে জানান। কিন্তু গত দুদিনেও সেসব কার্যালয়ের কেউ এসে বানরটিকে চিকিৎসা দেননি।

আজ রবিবার বিকেল ৫টার দিকে বানরটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় বসে থাকতে দেখেন সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ। পরে তিনি বানরটিকে পোভিসেপ সলিউশন, হেক্সিসল এবং হাইড্রোজেন পার অক্সাইড দিয়ে ড্রেসিং শেষে ক্লক্সাসিলিন এবং প্যারাসিটামল খাইয়ে চিকিৎসা দেন এবং ব্যান্ডেজ করে দেন। শেষে বানরটি আবার গাছে উঠে যায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, ‘খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসা বানরটি অসচেতন জনতার ধাওয়া খেয়ে দুর্ঘটনা কবলিত হয়ে গুরুতর আহত হয়।

বানরটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত ক্ষত হয়। এই ক্ষত নিয়ে সেটি গত দুই দিন হাসপাতালের পাশে ঘোরাঘুরি করছিল। আমি তা দেখে প্রাণী সম্পদ ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দিই। কিন্তু তারা লোক পাঠাবে বললেও শেষ পর্যন্ত কেউ আসেনি।’
তিনি আরো বলেন, ‘বানরটি আরো অসুস্থ হয়ে পড়ে আজ রবিবার বিকাল ৫টার দিকে আমার কার্যালয়ের সামনে এসে বসে।

আমি কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় সেটিকে সামনে দেখে আর ধৈর্য রাখতে পারিনি। আর কারো অপেক্ষা করে লাভ হবে না বুঝতে পেরে নিজেই চিকিৎসা সেবা দেই। ড্রেসিং এবং ব্যান্ডেজ শেষে ওষুধ দিলে বানরটি আবার বাগানের দিকে চলে যায়।’

কেন দুদিনেও প্রাণী সম্পদ ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা আসেননি জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. তাহমিনা আরজু বলেন, ‘আমরা বন বিভাগকে বলেছিলাম তারা যদি বানরটি এনে দেয় তাহলে আমরা চিকিৎসা করব। কিন্তু বন বিভাগ আসেনি।’

অন্যদিকে উপকূলীয় রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘বানরটি অসুস্থ। কিন্তু প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে কেউ গেল না। তারা আমাদের জানিয়েই শেষ করলেন! অথচ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বানরটির চিকিৎসা দিল। আমরা কাল সোমবার হাসপাতাল এলাকায় গিয়ে দেখি এটি কি অবস্থায় আছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩