কয়লার মজুদ সঙ্কটে ভুগছে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ‘দিন আনে দিন খায়’- এর মতো করে কেন্দ্রটিতে চলছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। কাঙ্খিত অর্থের ছাড় না হলে খুব শিগগিরই পর্যাপ্ত কয়লা মজুদের সম্ভাবনাও দেখছেন না সংশ্লিষ্টরা। আপাতত কয়লা সরবরাহের সাথে হিসাব কষেই বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে পায়রায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কয়লা মজুদ না থাকাটা ঝুঁকি হতে পারে। সরবরাহে যেকোনো জটিলতায় বন্ধ হয়ে যেতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় একক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
দেশের প্রতিদিনের চাহিদার প্রায় ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।সক্ষমতার পুরোটা উৎপাদনে কেন্দ্রটিতে প্রতিদিন দরকার হয় ১৩-১৪ হাজার মেট্রিক টন কয়লা।
পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শাহ আব্দুল হাসিব বলেন, বর্তমানে তিন দিনে ৪০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা আসে কেন্দ্রটিতে। ফলে চাহিদার সমান সমান জোগান দিয়েই চলছে উৎপাদন। পর্যাপ্ত মজুদের সুযোগ না থাকায় অনেকটা খালি হয়ে আছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির চারটি কোলডোম।
কয়লা আমদানির জন্য যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন সেটির জোগান দিতে পারছে না পিডিবি। কয়লা সরবরাহে সরকারের কাছে পায়রা কর্তৃপক্ষের পাওনা ছয় হাজার কোটি টাকারও বেশি। ফলে সহসাই এই টাকা পরিশোধ হবে তেমনটি মনে করেন না বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ম তামিম। তবে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার বিবেচনা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার পায়রা কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হয় ১২৪৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। প্রতিদিনের চাহিদা পূরণ করে কয়লা মজুদের সক্ষমতা প্রায় ছয় লাখ টন। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্রটিতে মজুদ আছে মাত্র ৬০ হাজার টন কয়লা।