মাইশা আক্তার (৬) ও শ্রাবণী আক্তার (৯) সর্ম্পকে দুই চাচাতো বোন। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে দুইবোনের খোঁজ পাচ্ছিল না তাঁদের পরিবার।
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ির পাশে পুকুরের পানির নিচ থেকে মাইশাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মাইশার মরদেহ নিজ বাড়িতে আনার পর দাফনের প্রস্তুতি শুরু করে তাঁর পরিবার। এমন সময় খবর আসে শ্রাবণীর কোন খোঁজ মিলছে না।
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশে একই পুকুরের পানির নিচ থেকে শ্রাবণীকে উদ্ধার করে তাঁর পরিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।
মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের বোকাইনগর ইউনিয়নের মামুদনগর গ্রামে। মাইশা আক্তার ওই গ্রামের রিপন মিয়ার মেয়ে। শ্রাবণী আক্তার একই গ্রামের নূরু মিয়ার মেয়ে।
দুই চাচাতো বোনের মধ্যে মাইশা দ্বিতীয় শ্রেণি ও শ্রাবণী আক্তার চতুর্থ শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছিল স্থানীয় বিদ্যালয়ে।
মাইশার চাচা ইসহাক মিয়া বলেন, বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে মাইশাকে খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে মাইশার জুতা পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুকুরের পানির নিচ থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক। পরে মরদেহ বাড়িতে আনার জানতে পারি শ্রাবণীও নিখোঁজ।
শ্রাবণী আক্তারের বাবা নুরু মিয়া বলেন, বুধবার বিকালে মেয়েকে নিয়ে একসাথে ভাত খেয়ে দোকানে এসেছি। সন্ধ্যার পর শ্রাবণী নিখোঁজ ও পুকুরের পানিতে ডুবে মাইশার মৃত্যুর খবর পাই। বাড়ি ফিরে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ওই পুকুরে তল্লাশি করলে পানির নিচ থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক।
এদিকে দুই চাচাতো বোনের মৃত্যুর খবরে তাঁদের বাড়িতে শুরু হয় শোকের মাতম। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠে আশেপাশের পরিবেশ। বুধবার রাতে মামুদনগর গ্রামের দুই বোনের জানাজা শেষে গ্রামেই দাফন করা হয়।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যুর বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।