লাখো মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন ময়মনসিংহের কিংবদন্তি রাজনীতিক ও সিংহপুরুষ, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য, সাবেক ধর্মমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বাদ আছর নগরীর আকুয়া মোড়ল বাড়ি জামে মসজিদ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বিকাল সাড়ে পাঁচটায় আকুয়া মোড়ল বাড়িস্থ পারিবারিক গোরস্থানে ছোট ছেলে প্রয়াত ড. মুশফিকুর রহমান শুভ’র কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। তাকে শেষ বারের মতো এক নজর দেখার জন্য মঙ্গলবারও নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ মোড়লবাড়ি ভিড় জমান।
জানাযায়, অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের তিন কন্যার মধ্যে দুই কন্যা অষ্ট্রেলিয়া থাকায় মরদেহ হিমাগারে রাখা হয়। মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় দুই কন্যাসহ স্বজনরা অস্ট্রেলিয়া থেকে ময়মনসিংহে পৌঁছলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। এসময় বাবার মরদেহের পাশে বারবার মূর্চ্ছা যান।
পরে বেলা সাড়ে তিনটায় মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নগরীর চরপাড়া নয়াপাড়া এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব অধ্যক্ষ মতিউর রহমান একাডেমি প্রাঙ্গণে। সেখানে শিক্ষার্থী-শিক্ষক, অভিভাবকসহ সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করেন। এরপর বিকেল চারটায় মরদেহ নেয়া হয় নিজ জন্মস্থান নগরীর আকুয়া মোড়ল বাড়ি এলাকায়। সেখানেও শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রদান করা হয়।
এসময় নেত্রকোনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাজ্জাতুল হাসান, বাকৃবি’র ভিসি প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, জেলা যুবলীগের আহবায়ক এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফেরদ্দৌস জিল্লুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, পেশাজীবি সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার হাজারো মানুষ জানাজায় শরিক হন।
সাবেক ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান গত ২৭ আগস্ট পৌঁণে রাত ১১টার দিকে নগরীর ধোপাখোলা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। ২৮ আগস্ট দিনভর মরদেহ নগরীর আলমগীর মনসুর (মিন্টু) মেমোরিয়াল কলেজ ও শীববাড়িস্থ দলীয় কার্যালয়ে রাখা হলে হাজারো নেতাকর্মী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও সব শ্রেণিপেশার শ্রদ্ধাঞ্জলী জানান।
সোমবার বাদ আসর নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দানে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নেতাকর্মীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।