1. info@provatferri.com : admin :
  2. provatferri.bd@gmail.com : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

বিষ প্রয়োগ করে আমন আবাদি জমির ধান নষ্ট করার অভিযোগ

মোঃ নাইমুর রহমান, শেরপুর
  • আপডেট : রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বনমারা (ঘাস মরা) বিষ প্রয়োগ করে চলমান উঠতি আমন আবাদি এক একর জমির ধান নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে আপন জেঠা ও জেঠাতো ভাইদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নের মানিকচাঁদ পাড়া গ্রামে। ভুক্তভোগী কৃষক ভাতিজা রেজাউল করিম এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার দাবি করেছেন।

ভক্তভোগী কৃষক রেজাউল করিম জানান, উপজেলার মানিকচাঁদ পাড়া মৌজার ৬৪ খতিয়ানের ‘ক’ তফসিলভুক্ত ৩০৭ নং দাগের এক একর জমি তার দাদা মোহাম্মদ আলী এলটম্যান্টমুলে ভোগদখল করেন। পরে তার সন্তান হোসেন আলীর কাছে বায়নাপত্রমুলে বিক্রি করেন। এরপর থেকে ওই জমি হোসেন আলী ভোগদখল করে আসছেন। গত তিন বছর আগে পিতা হোসেন আলী মারা যাওয়ার পর ওয়ারিশান সুত্রে জমির মালিক হন তার ছেলে রেজাউল করিম। এরইমধ্যে জমির অংশ দাবি করেন রেজাউলের আপন জেঠা আবুল হাশেম। এসব নিয়ে নালিতাবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবুর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি শালিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নালিশী জমিতে প্রবেশ করবেন না মর্মে সিদ্ধান্ত হলে সাড়ে তিন কাঠা জমি রেজাউলের জেঠা আবুল হাশেমকে লিখে দেন। কিন্তু কিছু দিন না যেতেই আবুল হাশেম, তার ছেলে শফিকুল ইসলাম ও আরিফুল ইসলাম ওই জমি জবর দখল করতে যায়। এসময় বাঁধা দিলে রেজাউলকে নানা ধরনের হুমকি দেয় তারা। এমনকি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে ধান লাগনো জমিতে মই দিয়ে নষ্ট করে। এছাড়া বাড়ি ঘরে তান্ডব শুরু করে। এসব বিষয়ে রেজাউল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। সর্বশেষ গ্রামবাসীর সহযোগীতায় ওই জমিতে চলতি আমন ধান রোপন করেন রেজাউল।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, তার জেঠা আবুল হাশেম, জেঠাতো ভাই শফিকুল ও আরিফুলরা মিলে রাতের আধারে বনমারা (ঘাস মরা) বিষ প্রয়োগ করে তার এক একর জমির লাগানো আমন ধান নষ্ট করে ফেলেছে। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

প্রতিবেশী ছফর উদ্দিন, দুলাল মিয়া, আহাম্মদ আলী, মকবর আলী, আনছার আলী ও আক্কাস আলীসহ অনেকেই জানান, হোসেন আলীর ছেলে রেজাউল ওই এক একর জমি আমন ধান আবাদ করেছেন। তার জমিতে বিষ প্রয়োগ করে ধান নষ্ট করা উচিত হয়নি।

সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মজিবর রহমান বলেন, প্রায় ৪০/৪৫ বছর যাবত ওই জমি হোসেন আলী ভোগদখল করে আসছে। তার মৃত্যুর পর ছেলে রেজাউল করিম ভোগদখল করছেন। তার আবাদি জমিতে বিষ প্রয়োগ করে নষ্ট করা ঠিক হয়নি। এর সঠিক বিচার হওয়া উচিত।

এদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে জেঠা আবুল হাশেম বলেন, আমার ছেলে শফিকুল বেশ কয়েকদিন যাবত অসুস্থ এমনকি আমি নিজেও পঙ্গু মানুষ। আমরা বিষ দিয়ে ধানক্ষেত নষ্ট করিনি।

নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, কৃষকের ধান ক্ষেতে বিষ প্রয়োগ করে নষ্ট করা এটি ফৌজদারি অপরাধ। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আইনের আশ্রয় নিলে উপযুক্ত বিচার পাবেন।

এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অভিযোগের তদন্তকর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক রেজাউলকে, বিষ দিয়ে জমি নষ্ট করার ছবি ও ভিডিও ধারন করে তা নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে। তিনি আসলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩