1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ভোলায় কোস্টগার্ডের সফল অভিযান ‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ বরিশাল থেকে ধরে আনা কর্মকর্তাকে ঢাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন: ড. ইউনূস আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায় শেয়ারবাজারে কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল নাহিদ-আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই নেমেছিল: সারজিস

জামালপুরে ভাষা সৈনিক, স্বাধীনতা সংগ্রামী ও চারণ কবি কয়েস উদ্দিন সরকার আর নেই

শফিকুল ইসলাম, জামালপুর
  • আপডেট : শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৩

জামালপুরে ভাষা সৈনিক, স্বাধীনতা সংগ্রামী ও চারণ কবি কয়েস উদ্দিন সরকার বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন শুক্রবার (২৫ আগষ্ট) রাত ১১টার দিকে শহরের গেইটপাড় এলাকায় তার বাড়িতে শতবর্ষী এই বীর শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

কয়েস উদ্দিন সরকার পৌর শহরের বেলটিয়া গ্রামের মৃত ছইমুদ্দিনের ছেলে। জানা গেছে, ব্যাক্তিগত জীবনে অবিবাহিত কয়েস উদ্দিন সরকার শোষণ, বঞ্চনা, অন্যায়-অবিচার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অনেক গান রচনা করে গেছেন। নিজেই তাতে সুরারোপ করে গেয়ে বেড়াতেন। শহরের যেখানেই প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের সভা চলুক না কেন, তিনি থাকতেন প্রথম কাতারে। গানের আবদার করলে মঞ্চে গান গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখতেন। তিনি ছিলেন মওলানা ভাসানীর একজন একনিষ্ঠ অনুসারী। কয়েস উদ্দিন ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী চেতনায় বিশ্বাসী। তিনি প্রাণের টানে ব্রিটিশ খেদাও আন্দোলন করেছেন।

শৈশবেই তিনি বাবাকে হারান, তাই খুব বেশি লেখাপড়া করতে পারেননি সাংসারিক অভাব অনটনের কারণে। ১৯৫২ সালে জিন্নাহ যখন ঢাকার কার্জন হলে রাষ্ট্রভাষা উর্দু করার ঘোষণা দেন, তখনই শুরু হয় ভাষা আন্দোলন। কয়েস উদ্দিন সরকার যোগ দেন ভাষা আন্দোলনে। তিনি যাদের নেতৃত্বে জামালপুরে ভাষা আন্দোলন করেছিলেন তারা হলেন, তৈয়ব আলী, তাছির মোক্তার, মোয়াজ্জেম উকিল, হায়দর আলী মল্লিক, নাসির সরকার প্রমুখ।

কয়েস উদ্দিন ভাষা আন্দোলন নিয়ে গান লিখে নিজেই গেয়ে বাঙালিদের উদ্বুদ্ধ করতেন। ২১ ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তানিদের গুলিতে রফিক, বরকত, ছালাম শহীদ হলে সারাদেশে আন্দোলন বেগবান হয়। পরবর্তীতে বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানিরা মেনে নিতে বাধ্য হয়। ভাষা আন্দোলন পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। আইয়ুববিরোধী গান রচনা করার জন্য আইয়ুব খানের মার্শাল ল’-এর সময় এক বছর জেল খাটেন কয়েস উদ্দিন।

জীবদ্দশায় খুব কষ্টে ও অভাব অনটনে জীবন যাপন করলেও নিজের নীতি আদর্শ থেকে কখনো সরে আসেননি। দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় থাকলেও গ্রহন করেননি কোন সরকারি সুযোগ সুবিধা। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ব্যাক্তি, বিত্তবানরা বা প্রতিষ্ঠান তার সাহায্যার্থে এগিয়ে আসলেও তিনি তাদের বিনয়ের সাথে ফিরিয়ে দিয়েছেন।

জামালপুরের ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা সংগ্রামী কয়েস উদ্দিন সরকার বার্ধক্যজনিত কারণে শুক্রবার রাতে গেইটপাড় এলাকায় তার বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার জানাজা শনিবার সকাল ১০টায় তাঁর গ্রামের বাড়ি বেলটিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়।

পরে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সকাল ১১টায় জামালপুর কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে নিয়ে আশে। অকুতোভয় এই বীরের অন্তিম ইচ্ছা অনুযায়ী তার মরদেহ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে দান করা হয়।

কয়েস উদ্দিন সরকারের মৃত্যুতে জামালপুরের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সকলেই গভীর ভাবে শোকাহত।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩