বাংলাদেশি হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে বৈঠক চলছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১ টায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খানের সঙ্গে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তওফিক বিন ফাওজান আর-রাবিয়াহর বৈঠক শুরু হয়।
দুইদিনের এই সফরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সৌদি হজমন্ত্রীর কাছে তিনটি দাবি জানানো হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
দাবিগুলো হলো-এক. হজের সময় মিনা-মুজদালিফায় বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা। দুই. সুশৃঙ্খল লাগেজ ব্যবস্থাপনা তিন. মুজদালিফা থেকে আসার পর বয়স্ক হাজিদের বিশ্রাম নেয়ার পর শয়তানকে পাথর মারার সুযোগ দেয়া। এ ছাড়া হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হবে।
জানা যায়, এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২২ হাজারের কিছু বেশি মানুষ হজ পালন করেন। হজ ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের সমস্যা না হলেও মিনা-মুজদালিফায় হাজিদের তাঁবুতে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহের ঘাটতি ছিল। বাংলাদেশি হাজিদের অনেক টয়লেটে পানি ছিল না। বিদ্যুৎ সমস্যার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন হাজিরা।
এ ছাড়া এবার হাজিদের ৬৫টি লাগেজ (ট্রলি) পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়কে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। অন্যদিকে মুজদালিফা থেকে মিনায় আসার পর হাজিদের জামারায় (শয়তানকে পাথর মারার স্থান) পাঠানো হয়। সৌদি পুলিশ হাজিদের তাঁবু আটকে রাখে। শয়তানকে পাথর মারার আগে কাউকে তাঁবুতে প্রবেশ করতে দেয় না সৌদি কর্তৃপক্ষ।
এতে ৪০ থেকে ৪৫ ডিগ্রি রোদে কয়েক কিলোমিটার হাঁটার পর বয়স্ক হাজিরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। কেউ কেউ মারাও যান। তাই বয়স্ক হাজিদের মুজদালিফা হতে মিনায় আসার পর তাঁবুতে বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ দেয়া হলে পরে তারা বিকেলে পাথর মারতে পারবেন। এতে বয়স্ক হাজিরা অসুস্থ হবেন না। এ বিষয়গুলো সৌদি হজমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরে সমাধান চাওয়া হবে বৈঠকে।
মঙ্গলবার রাতে বিশেষ বিমানে ঢাকায় আসেন ৬১ সদস্যের প্রতিনিধিদল।