পাকিস্তানের দুইটি গুরুত্বপূর্ণ আইনের সংশোধনীতে স্বাক্ষর করেননি বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। তিনি অভিযোগ করেন, আমি অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টের সংশোধনীতে স্বাক্ষর করেনি। অধীনস্ত কর্মীরা আমার নির্দেশ এবং আদেশকে `অগ্রাহ্য` করেছেন।
রোববার (২০ আগস্ট) প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি সামাজিক মাধ্যম এক্সে (টুইটারের নতুন নাম) বলেন, ‘আল্লাহ আমার সাক্ষী, অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-২০২৩ এবং পাকিস্তান আর্মি অ্যামেন্ডমেন্ট বিল-২০২৩ এর সঙ্গে একমত না হওয়ায় আমি তাতে স্বাক্ষর করিনি।’
তিনি বলেন, তিনি তার কর্মীদের এই দুটি বিল ‘অকার্যকর’ করার জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সই ছাড়া ফেরত দিতে বলেছেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি তাদের কাছ থেকে অনেকবার নিশ্চিত করেছি যে বিল দুটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা এবং আমাকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে তা করা হয়েছে। যাই হোক, আমি আজ জানতে পেরেছি যে আমার কর্মীরা আমার ইচ্ছা এবং আদেশকে অবমূল্যায়ন ও অবজ্ঞা করেছেন। সৃষ্টিকর্তা সব জানেন, তিনি ক্ষমা করবেন ইনশাআল্লাহ। তবে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাদের কাছ থেকে আমি ক্ষমা চাই।’
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আলভি শনিবার (১৯ আগস্ট) অফিসিয়াল সিক্রেটস (সংশোধন) বিল, ২০২৩ এবং পাকিস্তান আর্মি (সংশোধন) বিল, ২০২৩ এ সম্মতি দিয়েছেন, প্রস্তাবিত আইন দুটিতে পার্লামেন্টে অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে।
দুটি বিলই সিনেট এবং জাতীয় পরিষদ অনুমোদিত হয়েছিল এবং কয়েক সপ্তাহ আগে বিরোধী আইনপ্রণেতাদের সমালোচনার মধ্যে প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল।
সিক্রেটস অ্যাক্টের ধারা ৬-তে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যের তথ্য বা পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না। প্রকাশ করলে তা অপরাধ হবে যার জন্য হতে পারে তিন বছরের জেল এবং এক কোটি রুপি পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
আর্মি অ্যাক্ট পাকিস্তানে বলা হয়েছে সশস্ত্র বাহিনীর নিরাপত্তা ও স্বার্থের প্রতি ক্ষতিকর হতে পারে এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করলে দোষী ব্যক্তির পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে। আইনের একটি সংশোধনী সেনাপ্রধানকে আরও ক্ষমতা প্রদান করে।