গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধের বিষয়ে জারি করা রুল প্রস্তুতের জন্য তার লন্ডনের সঠিক ঠিকানা উল্লেখ করে নতুন আবেদন করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে তারেক রহমানের বিদেশে অবস্থানের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানাতে পররাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দেয়া হয়। তারেক রহমানের পাসপোর্টের মেয়াদের বিষয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) একটি প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। আদেশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়। রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা ও অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম। তারেক রহমানের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বিভিন্ন মামলা আদালতে বিচারাধীন। সম্প্রতি একটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন তিনি। সাজাপ্রাপ্ত হলেও বিদেশে অবস্থান করায় ‘পলাতক’ হিসেবে বিবেচনা করে তার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, আইনের চোখে পলাতক থাকায় ২০১৫ সালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার নিষিদ্ধ করে হাইকোর্ট। বিচারপতি কাজী রেজাউল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের আদেশে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সব ধরনের মিডিয়ায় এই ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন থেকে প্রায়ই তার বক্তব্য প্রচার হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ আগস্ট তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার বন্ধ চেয়ে রুল শুনানির আবেদন করেন আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকা লীনা।