বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসকদের পরামর্শে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা জানার জন্য বেশ কয়েকটি টেস্টের স্যাম্পল দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে মেডিকেল বোর্ড।
গতকাল বুধবার (৯ আগস্ট) রাত ৮টা ১০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে শারীরিক চেকআপ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) হাইকোর্টে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির আইন সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে নিতে হলে নির্বাহী আদেশেই সম্ভব। আলাদা করে এখানে আদালতের আদেশ লাগবে না।
তিনি আরও বলেন, এক ব্যক্তির নির্দেশেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না, এটি দুঃখজনক।
এর আগে গত ৩ জুন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতার কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ এর (১) উপবিধি অনুযায়ী তার শাস্তি স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। যে শর্তগুলো দেওয়া হয়েছে সেটা হচ্ছে, তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশে যেতে পারবেন না। তার অসুস্থতা যখনই গুরুতর হয়েছে, তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে আবার বাসায় ফিরেছেন। তাতে প্রমাণ করে যে, প্রথম কথা হচ্ছে তিনি অসুস্থ এবং দ্বিতীয় কথা হচ্ছে বাংলাদেশে তার সুচিকিৎসা হওয়ার মতো ব্যবস্থা আছে।