1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ভোলায় কোস্টগার্ডের সফল অভিযান ‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ বরিশাল থেকে ধরে আনা কর্মকর্তাকে ঢাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন: ড. ইউনূস আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায় শেয়ারবাজারে কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল নাহিদ-আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই নেমেছিল: সারজিস

আজ সোহাগপুর গণহত্যা দিবস

মোঃ নাইমুর রহমান, শেরপুর
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩

আজ ২৫ জুলাই। ঐতিহাসিক সোহাগপুর গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে নৃশংস গণহত্যাকা- সংঘটিত হয়েছিল নালিতাবাড়ী উপজেলার কাঁকরকান্দি ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামে। এদিন গ্রামের পুরুষরা কেউ কেউ ফসলের মাঠে হাল বইতে গিয়েছিলেন, কেউ বা বসেছিলেন নিজ বাড়িতেই। পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর বাহিনী ভারত সীমান্তঘেঁষা এ গ্রাম ঘিরে ফেলে। পরে শুরু করে নির্মম হত্যাযজ্ঞ। এতে ১৮৭ জন পুরুষকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে তারা। সেদিন রক্তের বন্যা বয়ে গিয়েছিল সোহাগপুর গ্রামে। রক্তলাল হয়েছিল সোহাগ পুরের ফসলের মাঠ।

স্ত্রীর চোখের সামনে স্বামীকে, সন্তানের চোখের সামনে বাবাকে ও ফসলের মাঠে গিয়ে গুলি করে মানুষ হত্যা করে পাকহানাদাররা। সারা গ্রাম পুরুষশূন্য হওয়ায় লাশ দাফনে বিপদে পড়েন তারা। দাফনের কাপড় না পেয়ে অনেক কষ্ট করে পরনের ছেঁড়া কাপড় ও মশারি দিয়ে পেঁচিয়ে এক কবরে একাধিক লাশ দাফন করেন তারা। জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচাতে কেউবা আবার লাশ ফেলে চলে যান অন্যত্র। সব পুরুষকে হত্যা করায় এই গ্রামের নামকরণ করা হয় ‘সোহাগপুর বিধবাপল্লী।’ এই পল্লীতে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ৫৬ জন বিধবা বেঁচে ছিলেন। বর্তমানে ২৩ জন বিধবা বেঁচে আছেন। এর মধ্যে ১৪ জন বিধবাকে বীরাঙ্গনার স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এ থেকে ৩ জন বীরাঙ্গনা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। এখন জীবিত আছেন বীরাঙ্গনা ১১ জনসহ ২৩ বিধবা নারী। বাকি বিধবারা বীরাঙ্গনার স্বীকৃতির প্রাপ্তির দাবি জানান।

বীরাঙ্গনারা বলেন, স্বাধীনতার পরে কেউ আমাদের খোঁজখবর নেয়নি। আমাদের এমপি বেগম মতিয়া চৌধুরীর প্রচেষ্টায় আমরা এখন বীরাঙ্গনা ভাতা ২০ হাজার, ট্রাস্ট ব্যাংকের দেওয়া ২ হাজার ও বিধবা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকা করে পাচ্ছি। সরকারিভাবে দেওয়া পাকাবাড়ি, রাস্তাঘাট আমরা পেয়েছি। এ জন্য আমরা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই।

নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খ্রিস্টফার হিমেল রিছিল বলেন, দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ‘সৌর জায়া’ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, বীরাঙ্গনাদের সংবর্ধনা প্রদান, নগদ অর্থ বিতরণ ও উন্নতমানের খাবার পরিবেশন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩