বিয়েবাড়িতে কনেকে কোলে নেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় বরসহ উভয় পক্ষের সাতজন আহত হয়েছেন। তাদের পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে ভোলার সদর উপজেলার পৌর ২নং ওয়ার্ডের আজাহার মেম্বারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিয়েবাড়ির সংঘর্ষের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ভোলা সদর মডেল থানার ওসি শাহিন ফকির। তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সোহেল জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি। আপাতত কোনো পক্ষই অভিযোগ দিতে নারাজ। বিষয়টি তারা পারিবারিকভাবে মিটিয়ে নেবেন বলে জানিয়েছেন।
জানা যায়, কনে তামান্না বেগম ওই এলাকার আবুল খায়েরের মেয়ে ও বর হযরত আলী ভেদুরিয়া ইউনিয়নের টেকেরহাট এলাকার আমির হোসেনের ছেলে।
আহত বর হযরত আলী জানান, পারিবারিকভাবে তামান্নার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। শুক্রবার দুপুরে ৪০ জন বরযাত্রী কনেবাড়ির বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। খাওয়া-দাওয়া শেষে কনেকে তার খালাতো বোনের জামাই কোলে নিয়ে মাইক্রোবাসে তুলে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে কনেকে হাঁটিয়ে গাড়িতে তুলি। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
বর আরও জানান, আমাকে মারধর করে ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। হাতে থাকা স্বর্ণের আংটি ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে মো. মহিউদ্দিন ও রায়হান চিকিৎসাধীন আছেন।
কনের পিতা আবুল খায়ের জানান, এ ঘটনায় কনের এক মামিসহ তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত বরপক্ষের বাড়িতে কনেকে তুলে দিচ্ছি না।