শেরপুরের কামারিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকীর বাহিনীর হাতে পিটুনি খেয়ে গুরুতর আহত আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল খালেকের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘ ১৫দিন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আজ সকালে সকালে মারা যান তিনি। এনিয়ে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এর আগে তাকে শেরপুর সদরের কামারিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা নূরে আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তার বাড়ীর কাছে ২ জুলাই বিকেলে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হাত পা, কোমড়, মেরুদণ্ড ভেঙে দেয়। এসময় পাশের দোকানদারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখা হয়।
পরে আশঙ্কা জনক অবস্থায় খালেককে প্রথমে শেরপুর জেলা হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে তার মৃত্যু হয়। এ খবর এলাকায় আসলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভীমগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীরা এ হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে ধর্মঘট পালন করে।
এসময় স্বজনরা এ ঘটনার জন্য দায়ী নূরে আলম সিদ্দিকী ও তার সহযোগীদের ফাঁসি দাবি করেন।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল জানান, এর আগেই ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এখন এটা হত্যা মামলায় রুপ নিবে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা যায়, নিহত খালেক শেরপুর জেলা ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন। তিনি কামারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।