1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ বরিশাল থেকে ধরে আনা কর্মকর্তাকে ঢাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন: ড. ইউনূস আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায় শেয়ারবাজারে কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল নাহিদ-আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই নেমেছিল: সারজিস বাংলাদেশিদের ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ দেবে আল-আজহার

‘মামলাজট কমাতে বিচারক-আইনজীবীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে’

উবায়দুল হক, ময়মনসিংহ
  • আপডেট : শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩

মামলাজট কমাতে বিচারক-আইনজীবীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

তিনি বলেছেন, সাধারণ মানুষ যাতে সহজেই বিচার পায় সে কথা মনে রেখেই আমরা আমাদের বিচারকগণ, বিজ্ঞ আইনজীবীদেরকে বারবার অনুরোধ করেছি যে আপনারা একে অপরের পরিপূরক। আপনারা বিচারকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করুন। যাতে করে মামলার জট ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ছাড়ানো যায়।

শনিবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২ টার দিকে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে বিচার প্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য ‘ন্যায়কুঞ্জ’র ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন শেষে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।

বিচারক, আইনজীবী, আইনজীবী সহকারীএবং বিচার বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, সবার দায়িত্ব হলো এই বিচার বিভাগকে রাষ্ট্রের অগ্রগতির সাথে খাপ খাইয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। সেই প্রচেষ্টাতেই আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। যাতে করে যে মামলার জটটা শুরু হয়েছে সেটিকে ছাড়িয়ে নেওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, সারাদেশের জেলাগুলার মধ্যে ২০২২ সালে ময়মনসিংহ জেলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মোকদ্দমা নিষ্পত্তি হয়েছে এবং এই বছরেও মামলা নিষ্পত্তির অগ্রগতির পরিমাণ গত বছরের চেয়ে বেশি। আমরা যদি এভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি তাহলে ইনশাল্লাহ এই মামলার জট ছাড়াতে সক্ষম হব।

বিচারকদের উদ্দেশ্যে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, আপনারা প্রচন্ড পরিশ্রম করেন। এমন কোন জাতি নাই এই পরিশ্রম ছাড়া এগিয়েছে। আমি আইনজীবীদের বলব, আপনারা আদালতকে সহায়তা করেন। আদালত, বেঞ্চ, বার একটা ছাড়া আর একটা চলতে পারে না। একটার সহায়তা ছাড়া আর একটা আগাতে পারেনা। আপনাদেরকে (আইনজীবীদের) মনে রাখতে হবে বিচারপ্রার্থী মানুষ আদালতের বারান্দায় বিচারের প্রত্যাশায় আসে। তারা এই দেশের মালিক। তাদেরকে আমারে আমাদের বিচারিক সেবা দেয়ার দায়িত্ব। এটা আমাদের যেভাবেই হোক বাস্তবায়ন করতে হবে। বছরের পর বছর যদি কেউ আদালতের বারান্দায় ঘুরতে থাকে ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায়, তারা যদি ন্যায়বিচার না পায় এবং তারা বলেও ফেলতে পারে যে এদেশের বিচার আচার নাই। তা আমরা হতে দিতে পারি না। এজন্য দেশ স্বাধীন হয়নি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, দেশে ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ শহীদ রক্ত দিয়েছে। এই রক্তের ঋণ পরিশোধ করবো পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে। প্রতিটি ক্ষেত্রে যেন দেশ এগিয়ে যায় এবং আগামী ২০-৩০ বছরে আমাদের অবস্থান হবে সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়ার মত।

এর আগে, ময়মনসিংহ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। এছাড়াও সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের পাশে জজে’স গার্ডেন এর উদ্বোধন করেন সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. জাকির হোসেন এবং জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ পারভীন।

পরে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সঙ্গে নগরীর টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটরিয়ামে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রেজিস্টার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী, সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের রেজিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্টার (বিচার) এসকে.এম তোফায়েল হাসান প্রমুখ।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩