কিশোরগঞ্জে জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. বাদল রহমানের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা শহরের কানিকাটা রেললাইনের পাশে ব্যাপারী বাড়ির পুকুরে তাঁর মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
বাদল রহমান জেলা শহরের খড়মপট্টি এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাঊদ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার রাতে বাদল রহমান বাসা থেকে বের হন। পরে আর বাসায় ফেরেননি। রোববার সকালে কানিকাটা এলাকার ব্যাপারী বাড়ির পুকুরে একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে স্থানীয়রাসহ মরদেহ বাদল রহমানের হিসেবে শনাক্ত করে। তখন তার পরিবারে খবর দেওয়া হয়।
বাদল রহমানের ছেলে নাবিল বলেন, ‘কালকে (শনিবার) রাত সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে বাবা আমাকে ফোন দেন। বাবা আমাকে বলেন, ভালোভাবে পড়াশোনা করিস। ভালোভাবে চলাফেরা করিস।’
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল বলেন, ‘বাদল রহমান আমাদের সংগঠনের একজন সক্রিয় নেতা। সকালে তাঁর মৃত্যুর খবর শুনতে পাই। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আমি তাঁর রহস্যজনক এই মৃত্যুর কারণ জানতে চাই। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য পুলিশকে অনুরোধ করব।’
কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘তাঁর (বাদল রহমান) শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’