ময়মনসিংহের গৌরীপুরের অচিন্তপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রনগর গ্রাম থেকে মুখোরিয়া গ্রামের প্রায় দেড় কিলোমিটার কাঁচা সড়ক ব্যক্তিগত অর্থায়নে সংস্কার করেছেন জেলা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ গোলাম সামদানী খান সুমন।
সংস্কার কাজে ব্যয় হয় ৮০ হাজার টাকা। সড়ক সংস্কার হওয়ায় হাসি ফুটে উঠেছে সাত গ্রামের মানুষের।
জানা গেছে, উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রনগর গ্রাম থেকে মুখোরিয়া সড়কটি আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ। এই সড়ক হয়ে রামচন্দ্রনগর, মুখোরিয়া, পালুহাটি, মহিশ্বরণ,সিংড়াউন্দ, যোলপাই, ডেকুরা সহ সাত গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে।
এছাড়াও এই সড়ক হয়ে রামচন্দ্রনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তালে হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে।
কিন্ত সংষ্কারের অভাবে বর্ষাকালের শুরুতেই সড়কটির বিভিন্ন স্থান ধসে ও সড়কের সৃষ্ট গর্তে কাদা-পানি জমে বেহাল হয়ে পড়ে। এতে করে সড়কে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ে স্কুল শিক্ষার্থী সহ সাত গ্রামের মানুষ।
ঈদ উপলক্ষে মোহাম্মদ গোলাম সামদানী খান সুমন গ্রামের বাড়িতে গেলে গ্রামবাসী বেহাল সড়কে চলাচলের দুর্ভোগের বিষয়টি তুলে ধরে সড়ক সংস্কারের দাবি জানায়। গ্রামবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে তিনি নিজস্ব অর্থায়নে সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেন।
গত রোববার রামচন্দ্রনগর থেকে সড়ক সংস্কারের কাজ শুরুর পর মুখোরিয়া গ্রামের ভেতরে এসে কাজ শেষ হয় বুধবার।
মোহাম্মদ গোলাম সামদানী খান সুমন ও অচিন্তপুর ইউপি চেয়ারম্যান জায়েদুর রহমান সহ গ্রামবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কে মাটি ফেলে ভাঙা অংশ মেরামত করেন। পাশাপাশি বালু ও ইটের খোয়া ফেলে সড়ক মেরামতের পাশাপাশি গর্ত ভরাট করা হয়।
মোহাম্মদ গোলাম সামদানী খান সুমন বলেন, সড়কটি পাকাকরণের জন্য অনুমোদন হয়ে আছে। কিন্তু বর্ষায় বেহলাদশার কারণে গ্রামবাসীর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল। তাই নির্মাণ কাজ শুরুর আগ পর্যন্ত চলাচল উপযোগী রাখতে ৮০ হাজার টাকা ব্যয়ে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংস্কার করেছি। সড়ক সংস্কার হওয়ার পর গ্রামের মানুষের মুখে যে হাসি ফুটেছে সেটাই পরম পাওয়া।
উপজেলা এলজিইডি কার্যালয়ের উপসহকারি প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মনি বলেন, সড়কটি পাকাকরণের অনুমোদন হয়েছে। অচিরেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে কাজ শুরু হবে।